যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে লিওনেল মেসির আগমন ছিল ঐতিহাসিক এক ঘটনা। মেসির আগমন আমূল বদলে দিয়েছে দেশটির ফুটবলকে। জনপ্রিয়তা, অর্থনীতি এবং মর্যাদার দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে খেলাটি।
২০২৩ সালের জুনে মায়ামির সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তি সম্পন্ন করেন মেসি। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত মায়ামির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরটাই হতে যাচ্ছে মায়ামিতে মেসির শেষ বছর।
এখন নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই মায়ামিতে মেসির চুক্তি নবায়নের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, মেসির সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি নবায়নের জন্য এখন দর–কষাকষি করছে মায়ামি।
শেষ পর্যন্ত এই দর–কষাকষি ফলপ্রসূ হলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেসিকে দেখা যাবে মায়ামিতে। এরই মধ্যে মেসিকে ধরে রাখার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ক্লাবটির অন্যতম মালিক হোর্সে মাস। বলেছেন, তাঁদের ইচ্ছা মেসিকে ২০২৬ পর্যন্ত ধরে রাখা।
এখন পর্যন্ত চুক্তি পাকা না হলেও যেকোনো মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করেছেন এএস। শুধু এএসই অবশ্য নয়, আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসও জানিয়েছে, মেসিকে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে মায়ামি। পাশাপাশি মায়ামিতে মেসি ভালো আছেন বলেও জানা গেছে।
মেসির সঙ্গে মায়ামির চুক্তি বাড়ানোর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ইঙ্গিত হতে পারে হাভিয়ের মাচেরানোর ক্লাবটিতে কোচ হয়ে আসা। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্দো মার্তিনোর বিদায়ের পর ক্লাবটির নতুন কোচ করা হয়েছে আরেক আর্জেন্টাইন ও মেসির সতীর্থ মাচেরানোকে।
অনেকের ধারণা সাবেক এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের কোচ হয়ে আসার পেছনে বিশেষ প্রভাব আছে মেসির। তেমনটা হলে মেসির চুক্তি বাড়ানোর বিষয়টিও একেবারে অযৌক্তিক নয়।
২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত মেসির মায়ামিতে থাকার আরেকটি বড় কারণ হতে পারে বিশ্বকাপ। ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে মেসিকে চান আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিসহ দলের খেলোয়াড়েরা।
বিভিন্ন সময় মেসি নিজেও বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর মেসি যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলেন, তবে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে থাকাটা আর্জেন্টিনাকে বাড়তি সুবিধা দেবে। এখন শেষ পর্যন্ত মেসির চুক্তি নিয়ে নতুন কোনো খবর আসে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।