ফিট থেকে এবং ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলেই একজন ফুটবলার সাধারণত জাতীয় দলে জায়গা করে নেন। যেহেতু ফুটবলাররা বছরের বেশির ভাগ সময় ক্লাবের হয়ে খেলে থাকেন, তাই জাতীয় দলের কোচকেও খেলোয়াড়দের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় ক্লাবের দিকেই। ব্যতিক্রম নন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও।
আর্জেন্টিনার দল ঘোষণার সময় ক্লাবের হয়ে পারফরম্যান্সকে বিবেচনায় নিয়ে দল সাজিয়ে নেন স্কালোনিও। তবে তাঁর এই নিয়মের মধ্যেও কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম আছে। অবশ্য যে দলে লিওনেল মেসির নামের একজন ফুটবলার খেলেন, সেই দলে কিছু নিয়ম এদিক–সেদিক হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
ফলে সবার জন্য ক্লাবের জার্সিতে নিয়মিত খেলে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া নিয়ম হলেও মেসির জন্য সেই বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাই জাতীয় দলের জায়গাটা মেসির জন্য বরাদ্দই থাকে।
পেরুর বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে নিজের এই নিয়মের কথা মনে করিয়ে দিয়ে স্কালোনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলার মধ্যে থাকা জরুরি। কোপা আমেরিকার পর এই ছয় ম্যাচ (বিশ্বকাপ বাছাইয়ের) খুব কাছাকাছি সময়ে হচ্ছে। ফলে আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যেতে চেয়েছি, যা আমাদের কাপ জয়ের আনন্দ দিয়েছে।আর অন্য খেলোয়াড়দের আনার জন্য খুব বেশি সময়ও ছিল না। তবে এখন থেকে আমরা চাইব সবাই খেলার মধ্যে থাকুক এবং সেখান থেকেই আমরা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। যেটা এবারের আগে আমরা সব সময় করেছি।’
অবশ্য সবার জন্য নিয়মটা এমন হলেও মেসির জন্য নয়। ফিট থাকা সাপেক্ষে মেসির জাতীয় দলের জায়গাটা যে সব সময় পাকা, সেটা বোঝা যাবে স্কালোনির এ কথায়, ‘লিওর (মেসি) ব্যাপারটা আলাদা। ক্লাবের হয়ে বিশ্রামে থাকলেও জাতীয় দলে সে থাকবেই।’
এ বছর চোটের সঙ্গে লড়াই করা মেসি ইন্টার মায়ামির হয়ে ২২ ম্যাচ খেলেছেন। তবে এরপরও ২১ গোলের পাশাপাশি ১১টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। মেসির বছরটা স্কালোনি মূল্যায়ন করলেন এভাবে, ‘লিওর (মেসি) বছরটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য অনেক বেশি ম্যাচ খেলার বছর। এর মধ্যে কোপা আমেরিকাও ছিল। তার জন্য শতভাগ ফিট থাকা এবং সমস্যাহীন থাকা কঠিন ছিল। আমি এটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখি। সে চোটে ভুগেছে। তবে এসব বাদ দিলে সে আমাদের সঙ্গেই ছিল।’