আয়াক্সে যখন খেলতেন, তাঁকে বলা হতো ‘আমস্টারডামের কসাই’। মাঠে তাঁর আগ্রাসী শরীরী ভাষাই ছিল এর বড় কারণ। লিসান্দ্রো মার্তিনেজ আয়াক্স ছেড়ে এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। খেলার ধরনও একদমই বদলায়নি। এরই মধ্যে ইউনাইটেড সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই ডিফেন্ডার। ‘কসাই’ নামটাও এখনো আছে। মার্তিনেজের এই আগ্রাসী মনোভাবটা আসে মূলত খেলার প্রতি প্রচণ্ড আবেগ থেকে। এতটাই যে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার নিজেই বলেছেন, ‘মাঝে মাঝে তো আমার (প্রতিপক্ষকে) মেরে ফেলতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আপনাকে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করাও জানতে হবে।’
‘মেরে ফেলা’ কথাটাকে অবশ্য আক্ষরিক অর্থে নিলে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আসলে মার্তিনেজ বোঝাতে চেয়েছেন, মাঠে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতেই নামেন তিনি, কোনো সুযোগই দিতে চান না। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আর্জেন্টাইন হিসেবে, এটা আমাদের ফুটবল সংস্কৃতির মধ্যেই আছে। আমরা খুবই আবেগপ্রবণ। ফুটবল আমাদের জন্য সবকিছু, আমরাও তাই ফুটবল মাঠে সর্বস্ব দিয়ে লড়তে চাই। আমার মনে আছে, আমার বয়স যখন চার বা পাঁচ ছিল, আমি খেলায় হারলে কাঁদতে শুরু করতাম, মারামারি শুরু করতাম। এটা আমাদের রক্তে, আমাদের হৃদয়ে।’
এত আগ্রাসী মনোভাবের পরও পুরো ক্যারিয়ারে মাত্র একবার লাল কার্ড দেখেছেন মার্তিনেজ, সেটাও আর্জেন্টিনায় থাকার সময়ে। প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত চারটা হলুদ কার্ড দেখেছেন মার্তিনেজ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে সব প্রতিযোগিতা ৩৪ ম্যাচে মিলে ৭টি। বোঝাই যাচ্ছে, আবেগপ্রবণ হলেও সেই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ শিখেছেন মার্তিনেজ, ‘এটা তো করতেই হবে, নইলে তো আমি প্রতি ম্যাচেই কার্ড দেখতে থাকব। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে হয়।’
গতকাল রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছেন মার্তিনেজ। তাঁর দল নিউক্যাসলকে হারিয়েছে লিগ কাপের ফাইনালে।