ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও স্যার আলেক্স ফার্গুসন যেন সমার্থক। ইউনাইটেডকে নিজের জাদুকরি স্পর্শে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন ফার্গুসন। স্কটিশ এই কোচের প্রভাব ইউনাইটেডের ওপর এতটাই বেশি যে কোচিং ছাড়ার পরও তাঁকে ক্লাবের সঙ্গে রেখে দিয়েছিল ক্লাবটি।
২০১৩ সাল থেকে ইউনাইটেডের বৈশ্বিক দূত হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন কিংবদন্তি এই কোচ। তবে ফার্গুসনকে এ মৌসুম শেষে সেই পদ থেকে বাদ দেবে ক্লাবটি, যার ফলে প্রতিবছর ২০ লাখ পাউন্ড বাঁচাতে পারবে ইউনাইটেড।
ফার্গুসনকে সরিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য এরই মধ্যে বেশ আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি বর্তমান কোচ এরিক টেন হাগও মনে করেন, ফার্গুসনকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রভাবিত করবে ইউনাইটেডকে।
সংবাদ সম্মেলনে ফার্গুসনকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে টেন হাগ বলেছেন, ‘অবশ্যই এটা আমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। স্যার আলেক্সই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ক্লাবকে তিনি এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এটা আমাদের প্রভাবিত করবে।’
ফার্গুসনের না থাকা প্রভাবিত করলেও দলের প্রয়োজনে এখনও তাঁকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী টেন হাগ, ‘তবে বিপরীতে আমরা জানি যে স্যার অ্যালেক্স (ফার্গুসন) ইউনাইটেডকে জিততে দেখতে চান। আমি নিশ্চিত তিনি সব সময় পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রস্তত থাকবেন। আমাদের অবশ্যই স্বল্প মেয়াদে তাকে এখানে প্রয়োজন হবে। যেমনটা আমি এখানে আসার পর গত আড়াই বছরে হয়েছে।’
ইউনাইটেডে ২৭ বছর কোচিং করে ১৩টি প্রিমিয়ার লিগ এবং ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন ফার্গুসন। তিনি ক্লাব ছাড়ার পর ১০ বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ দুটি শিরোপার মুখ দেখেনি দলটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেন হাগ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা তার মানকে স্পর্শ করতে পারব না। কিন্তু এরপরও আমরা ট্রফি জিতেছি। মনে রাখবেন, ছয় বছর আগেও এই ক্লাব ট্রফি জিততে পারেনি, কিন্তু এখন আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। আমরা ফিরে আসছি।’