বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ১৮টি কার্ড দেখান মাতেও লাহোজ
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ১৮টি কার্ড দেখান মাতেও লাহোজ

আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ১৮ কার্ড দেখানো সেই রেফারির আয়ই সবচেয়ে বেশি

কাতার বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনালের কথা মনে আছে?

বারবার উত্তাপ ছড়ানো যে ম্যাচে ১৮টি কার্ড দেখিয়ে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি কার্ড দেখানোর রেকর্ড গড়েছিলেন রেফারি আন্তোনিও মাতেও লাহোজ। ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ তাঁকে ‘অপদার্থ’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিশ্বকাপে সমালোচিত হওয়া সেই লাহোজই ২০২২ সালে স্প্যানিশ রেফারিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন। আর রেফারিদের মধ্যে স্প্যানিশরাই যেহেতু সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকেন, গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা রেফারিও লাহোজেরই হওয়ার কথা।

মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কার খবরে বলা হয়, ২০২২ সালে লাহোজের আয় ছিল ৩ লাখ ৩৫ হাজার ইউরোর আশপাশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় চার কোটি টাকা। শুধু রেফারিং থেকে এই অর্থ তাঁর পকেটে ঢুকেছে।

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের পাশাপাশি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা ইউরোপা লিগ, লিগ অব নেশনস, স্প্যানিশ লা লিগা, গ্রিক কাপ ও সৌদি সুপার কাপে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন লাহোজ।

আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচে বারবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে লাহোজকে

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। বিশ্বকাপের সব রেফারিকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার করে দিয়েছে ফিফা। সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ম্যাচ পরিচালনার জন্য ছিল আলাদা সম্মানী। গ্রুপ পর্বের খেলায় ৩ হাজার ডলার করে, নকআউটের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার করে।

আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ও কাতার-সেনেগাল ম্যাচের বাঁশিও ছিল লাহোজের হাতে। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রতিটি ম্যাচের জন্য উয়েফার কাছ থেকে ৭ হাজার ইউরো করে পেয়েছেন লাহোজ।

মাসের হিসাবে লাহোজ সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন অক্টোবরে। বিশ্বকাপ শুরুর আগের মাসে চারটি লিগ ম্যাচ, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ ও আরেকটিতে ভিএআর রেফারি হিসেবে কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে ওই মাসেই আয় করেছিলেন ৩৮ হাজার ৪০০ ইউরো।

আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচের রেফারি অ্যান্তনিও মাতেও লাহোজ

লাহোজের এই আয়ের সঙ্গে তাঁর অন্যান্য ভাতা, ভ্রমণ ব্যয় বা হোটেলভাড়া অন্তর্ভুক্ত নেই। স্প্যানিশ লিগে এই ব্যয়গুলো বহন করে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি অব রেফারিজ (সিটিএ)।

আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচের পর বিশ্বকাপে আর কোনো ম্যাচ পরিচালনা করেননি লাহোজ। বিশ্বকাপের পর তিনি আবার বাঁশি হাতে মাঠে ফেরেন বছরের শেষ দিন বার্সেলোনা-হেতাফে ম্যাচে। লা লিগার ম্যাচটিতেও ১৫টি কার্ড দেখান লাহোজ।

এরপর কয়েক সপ্তাহ লা লিগায় ম্যাচ পরিচালনারই সুযোগ পাননি। এ সময় স্পেনের বাইরে সৌদি প্রো লিগে আল নাসর-আল ইতিহাদ ম্যাচ পরিচালনা করেন ৪৬ বছর বয়সী এই রেফারি। মজার বিষয়, আগামী ১৬ এপ্রিল বার্সেলোনার আরেকটি ম্যাচে বাঁশি হাতে নামবেন লাহোজ। ক্যাম্প ন্যুর ম্যাচটিতে বার্সার প্রতিপক্ষ হেতাফে!