সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি সামনে রেখে ৭ অধিনায়ক। গতকাল কাঠমান্ডুতে
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি সামনে রেখে ৭ অধিনায়ক। গতকাল কাঠমান্ডুতে

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

আজ শুরু দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ‘বিশ্বকাপ’ 

টুর্নামেন্টের পোশাকি নাম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। নামটা পাল্টে ‘দক্ষিণ এশিয়ান নারী বিশ্বকাপ’ রাখলে বোধ হয় ভুল হবে না। এটিই যে সাফে নারীদের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। 

২০১০ সালে শুরু হওয়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ছয়টি ফাইনালে উঠে প্রতিবার রানার্সআপ হওয়ার বেদনায় পুড়তে হয়েছে নেপালকে। নেপালকে কাঁদিয়ে বরাবর হেসেছে ভারত। প্রথম পাঁচটি ফাইনালের সব কটিই জিতে ‘অপরাজেয়’ সেই ভারত ২০২২ সালে হোঁচট খেয়েছে। উঠতে পারেনি ফাইনালে। প্রথম ফাইনালে উঠেই স্বাগতিক নেপালকে তাদেরই মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। পুরো দেশ মেতে উঠেছে উৎসবে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে মতিঝিল বাফুফে ভবন পর্যন্ত ছাদখোলা বাসে বিজয়ী মেয়েদের সেই শোভাযাত্রার স্মৃতি এখনো অমলিন।

দুই বছর পর সেই কাঠমান্ডুতেই আরেকটি নারী সাফ চ্যাম্পিয়নের পর্দা উঠছে আজ। ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রপে স্বাগতিক নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটান। দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট।

২০১২ সালে পাকিস্তান একবারই আঞ্চলিক এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলেছে। প্রবাসী ফুটবলারে ঠাসা এবারের পাকিস্তান দলের অধিনায়ক যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা মারিয়া খান। কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে কাল আয়োজিত সাত দলের অধিনায়ক ও কোচের সংবাদ সম্মেলনে মারিয়ার একটা কথা যেন সবারই মনের কথা,‘এটি তো আমাদের বিশ্বকাপ।’

এই ‘বিশ্বকাপে’ বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। গত সাফে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটা নিয়ে আশাবাদী হতেই পারে।

তবে ২৩ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে গ্রুপের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা। গতবার গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে জিতলেও এবার হয়তো সেটা সহজ হবে না। কারণ, বাংলাদেশের ২০২২ সালের সেই দলটি ভেঙে গেছে আগেই। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটির বাড়তি গুরুত্ব, স্বাগতিক নেপালকে এড়ানোর জন্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা জরুরি।

অনুশীলনে বাংলাদেশ দল

যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার আক্ষেপের কথা বলেছিলেন সাবিনা। তবে কাঠমান্ডুতে গিয়ে আশার কথাই বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা বেশ ভালো হয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সব সময় মেয়েদের বাড়তিভাবে উজ্জীবিত করে।’ ভারত কোচ সান্তোস কশ্যপের কথা শুনেও উজ্জীবিত হতে পারেন সাবিনারা। তাঁর চোখে, বাংলাদেশ দারুণ একটি দল।

মাঠে তা আবারও প্রমাণের পালা সাবিনাদের।