২৬ মিনিটে ১০ জন আর ৬৯ মিনিটে নয়জনে পরিণত হয়েছে লিভারপুল। মাঝে লুইস দিয়াজের একটি গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডে। এত কিছুর পরও টটেনহামের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট তুলে নেওয়ার পথে ছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
কিন্তু দিনটি আসলে লিভারপুলের ছিল না। নইলে ম্যাচের ৯৬ মিনিটে পেদ্রো পোরোর ক্রস প্রতিহত করতে গিয়ে নিজের জালেই কেন বল পাঠিয়ে দেবেন জোয়েল মাতিপ। শেষ বাঁশির ক্ষণিক আগে মাতিপের ওই আত্মঘাতী গোলেই টটেনহামের মাঠে ২–১ ব্যবধানে হেরে গেছে লিভারপুল।
এই হারে ক্লপের দল পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে নেমে গেছে তো বটেই, টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারায়ও ছেদ পড়েছে।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে ইয়েভেস বিসোউমাকে ট্যাকল করায় হলুদ কার্ড দেখেন কার্টিস জোনস। তবে রিপ্লে দেখে ইংলিশ মিডফিল্ডারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এরপর দিয়াজ টটেনহামের জালে বল পাঠালেও অফসাইডে তা বাতিল করা হয়। ৩৬ মিনিটে টটেনহাম এগিয়ে যান সন হিউং-মিনের গোলে। তবে বিরতির আগে সেই গোল শোধ করেন গাকপো। টটেনহামের হয়ে সন আরেকবার বল জালে অফসাইডের পতাকায় বেঁচে যায় লিভারপুল।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে বদলি নামা দিয়োগো জোতা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ৯ জনের দলে পরিণত হয় লিভারপুল। টটেনহাম অবশ্য দুজন খেলোয়াড় বাড়তি পাওয়ার সুবিধাও কাজে লাগাতে পারছিল না। ম্যাচের ৯৬ মিনিটে পোরোর ক্রস বক্সের সামনে যাওয়া রুখে দিতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন মাতিপ। নাগালে থাকা এক পয়েন্ট মুহূর্তেই ‘নাই’ হয়ে যায় লিভারপুলের জন্য।
লিভারপুলের এই হারে দিনের শুরুতে হেরেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৭ ম্যাচ শেষে সিটির পয়েন্ট ১৮। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহাম দুইয়ে, সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে আর্সেনাল। আর লিভারপুলের অবস্থান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে।