কিলিয়ান এমবাপ্পে–পিএসজি সম্পর্ক প্রায় প্রতিদিনই শীতল থেকে শীতলতর হচ্ছে। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া মৌসুমের পর পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবেন না—এমবাপ্পে এমন চিঠি দেওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়ে কঠোর থেকে কঠোরতর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্যারিসের দলটি।
চুক্তি নবায়ন করবেন না—এমবাপ্পে এমন চিঠি দেওয়ার পর তাঁকে বিক্রি করার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে পিএসজি। আগামী মৌসুমে মুক্ত খেলোয়াড় হওয়ার আগেই তাঁকে বিক্রি করতে চায় তারা। কারণ, মুক্ত খেলোয়াড় হয়ে গেলে তাঁর বিনিময়ে দলবদল ফি পাবে না ক্লাবটি।
অন্যদিকে এমবাপ্পে চুক্তির মেয়াদ শেষ না করে ক্লাব ছাড়তে চান না। কারণ, চুক্তির মেয়াদ শেষ না করলে আনুগত্য বোনাসের পুরোটা পাবেন না তিনি। এটা নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে চরম তিক্ততা তৈরি হয়েছে এমবাপ্পের।
পিএসজি প্রথমে এমবাপ্পেকে প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতির এশিয়া সফরের দল থেকে বাদ দেয়। এরপর তাঁকে ‘বম্ব স্কোয়াড’–এ পাঠিয়ে দিয়েছে ক্লাবটি। ফুটবলে ‘বম্ব স্কোয়াড’ কথাটার একটা বিশেষ মানে আছে। সাধারণত অতি বেতনের খেলোয়াড়, যাঁরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন না কিংবা ক্লাব আর যাঁদের দরকারি মনে করে না, তাঁদের যখন মূল দল থেকে আলাদা করে ফেলা হয়, তাঁদের ‘বম্ব স্কোয়াড’-এর সদস্য বলা হয়।
পিএসজির বম্ব স্কোয়াডে আগে থেকেই ছিলেন লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। কদিন আগে এমবাপ্পে লুইস এনরিকেকে একটি ‘হুমকি’ও দিয়েছিলেন। স্কাই স্পোর্টসের প্রধান প্রতিবেদক কাভে সোলহেকলেরকে এমবাপ্পে বলেছিলেন, পিএসজির মূল স্কোয়াড তাঁর বম্ব স্কোয়াডের সঙ্গে কোনো ম্যাচই জিততে পারবে না!
হুমকি–টুমকি দিয়ে কোনো লাভ যে হয়নি, সেটা বোঝা গেল এমবাপ্পেকে নিয়ে পিএসজির আরেকটি সিদ্ধান্তে। এবার তাঁকে বার্ষিক লিগ ডি প্রফেশনাল’স (এলএফপি) মিডিয়া দিবস থেকে বাদ দিয়েছে পিএসজি।
মৌসুম শুরুর আগে এই মিডিয়া দিবস ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’র ক্লাবগুলোর জন্য ঐতিহ্যবাহী একটা দিন। মিডিয়া দিবসে প্রতিটি দলের মূল স্কোয়াডের ছবি তোলা হয়, যেটা পুরো মৌসুমের জন্য দলগুলো এবং লিগ কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করে থাকে।
এলএফপির এই আয়োজনে ১৮টি দলের সব পেশাদার ফুটবলারকেই নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। শুধু এমবাপ্পেই বাদ পড়েছেন। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে পিএসজি পরিষ্কার করে দিয়েছে যে এমবাপ্পেকে আগামী মৌসুমের পরিকল্পনায় রাখেনি পিএসজি। এখন তিনি শেষ পর্যন্ত কবে পিএসজি ছাড়েন আর কোথায় যান, সেটা দেখারই অপেক্ষায় সবাই।