বিশ্বকাপের আগে চোট থেকে সেরে উঠতে পারবেন কি না, সংশয় ছিল। যে সংশয় প্রথম ম্যাচের ১০ দিন আগেও কাটেনি। তবু ঝুঁকি নিয়েই সাদিও মানেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাতারে। বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরোয়ার্ডকে রেখেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন সেনেগাল কোচ আলিউ সিসে।
গত সপ্তাহে বায়ার্ন মিউনিখ–ভের্ডার ব্রেমেন ম্যাচের ১৫ মিনিটের সময় হাঁটুর চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান মানে। প্রাথমিকভাবে চোটের তীব্রতা এতটাই বেশি মনে হয়েছিল যে ফ্রান্সের লেকিপসহ ইউরোপের শীর্ষ গণমাধ্যমের অনেকগুলোই মানের বিশ্বকাপ শেষ বলে খবর দেয়। তবে ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে নিয়ে এখনই আশা ছাড়তে রাজি নন সেনেগাল কোচ।
মানেকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে রাখার যুক্তি দিয়ে সেনেগাল কোচ বলেন, ‘আমরা সেনেগালিজ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মানের কাছে চিকিৎসক পাঠিয়েছিলাম। মিউনিখে একদিন সময় নিয়ে চিকিৎসক তার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। আশার কথা হচ্ছে, ওর অস্ত্রোপচার লাগবে না। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো খবর।’
অস্ত্রোপচার না লাগলেও এখনই খেলার জন্য প্রস্তুত নন মানে। বিশ্বকাপে সেনেগালের প্রথম ম্যাচ ২১ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে পরের দুটি ম্যাচ ২৫ নভেম্বর (প্রতিপক্ষ কাতার) ও ২৯ নভেম্বর (ইকুয়েডর)।
তৃতীয় ম্যাচটিও মানে খেলতে পারবেন কি না, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সেনেগাল কোচ, ‘এক সপ্তাহ বা ১০ দিন পর ওর একটা এমআরআই করানো হবে। তখন দেখব চোট থেকে কতটা উন্নতি ঘটেছে। আমি আশা করছি, দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো উন্নতি হবে।’
সেনেগাল বিশ্বকাপ দল
গোলকিপার: এদুয়ার্দ মেন্দি, আলফ্রেদ গোমিজ, সেনি দিয়াং।
ডিফেন্ডার: কালিদু কুলিবালি, পাপে আবু সিসে, আবদু দিয়ালো, ফোদে বালো তোরে, ইউসুফ সাবালি, ইসমাইল জ্যাকবস, ফরমোস মেন্দি।
মিডফিল্ডার: পাপে মাতার সার, পাপে গেয়ে, নামপালিস মেন্দি, ইদ্রিসা গানা গেয়ে, মুস্তাফা নামে, লুম এনদিয়ায়ে, চেইখু কোয়াতে, ক্রেপিন দিয়াত্তা, পাথে সিস।
ফরোয়ার্ড: সাদিও মানে, ইসমাইলা সার, বাম্বা দিয়েং, বুলায়ে দিয়া, ফামারা দিয়েদহিউ, ইলমান এনদিয়ায়ে ও নিকোলাস জ্যাকসন।