পরপর দুটি ম্যাচে। দুটিই নাটকীয়তায় ভরপুর। রোমাঞ্চে ঠাসা। মিউনিখে ইউক্রেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ২৪ বছর পর ইউরোতে রোমানিয়ার জয়টা যদি চমক হয়, ফ্রাঙ্কফুর্টে বেলজিয়ামের বিপক্ষে স্লোভাকিয়ার ১-০ গোলের জয়টাকে বড় অঘটন বলে দেওয়া যায় নিশ্চিন্তে। এমন হার দিয়ে ইউরো শুরুর পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, বড় টুর্নামেন্টে আরও একবার কি ‘চোকার’ হয়েই থাকবে বেলজিয়াম!
দুই দলের শক্তিতে বিস্তর ব্যবধান। স্লোভাকিয়ার ফিফা র্যাঙ্কিং ৪৮, বেলজিয়ামের ৩। দীর্ঘদিন বেলজিয়াম ছিল ১ নম্বরেও। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের বড় বড় তারকারা খেলেন বেলজিয়ামে। সেই বেলজিয়াম আজ ফ্রাঙ্কফুর্টে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে গেল। অন্যদিকে ম্যাচের ৭ মিনিটে ইভান শারাঞ্জের করা গোলে পাওয়া লিড শেশ পর্যন্ত ধরে রেখে স্লোভাকিয়া পেল স্মরনীয় এক জয়।
ভাগ্যও অবশ্য সঙ্গে ছিল না বেলজিয়ামের। দুই-দুইবার বল স্লোভাকিয়ার জালে পাঠিয়েছেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। কিন্তু দুবারই ভিএআরে বাতিল হয়ে গেছে তাঁর গোল। ৫৬ মিনিটে লুকাকু হেডে গোল করার পর দেখা গেল তিনি অফসাইফ ছিলেন। ৮৬ মিনিটে আরেকবার গোল করার পর দেখা গেল আক্রমনের শুরুতে তাঁর সতীর্থ লুইস ওপেন্দা হ্যান্ডবল করেছিলেন!
এই দুই গল বাতিলের হতাশার মাঝে একবার স্লোভাকিয়া একেবারে গোললাইন থেকে একটা বল ক্লিয়ার করে। গোল হতে পারত সেটাও।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর এবারের ইউরোও তাই খুব বাজেভাবে শুরু হলো বেলজিয়ামের। একই গ্রুপে দিনের অন্য ম্যাচে রোমানিয়া ৩-০ গোলে ইউক্রেনকে হারিয়ে দেওয়ায় বেলজিয়ামের কাজটা কঠিন হয়ে গেল আরও। কাতার বিশ্বকাপের ভাগ্য বরণ করতে না চাইলে গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচে এখন বেলজিয়ামকে দারুণ কিছুই করতে হবে।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা ইউক্রেন রোমানিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার দায়টা চাইলে গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিনকে দিতে পারে। তাঁর ভুলেই দুটি গোল খেয়েছে ইউক্রেন, এর মধ্যে প্রথম ভুলটা তো মারাত্মক। সতীর্থের ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে লুনিন বল তুলে দেন প্রতিপক্ষের পায়ে! রোমানিয়ার হয়ে তিনটি গোল করেছেন নিকোলাই স্তানচু, রাজভান মারিন ও দেনিস দ্রাগাস।
এ নিয়ে ষষ্ঠবার ইউরো খেলছে রোমানিয়া। ১৭ ম্যাচে এটি তাদের মাত্র দ্বিতীয় জয়। প্রথম জয়টা ছিল ২৪ বছর আগে ২০০০ ইউরোতে। সেবার ৩-২ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলেছিল রোমানিয়া। এবারও নিশ্চয়ই তেমন কিছুরই স্বপ্ন দেখছেন গিওর্গে হ্যাজির উত্তরসূরিরা।