অনেক আশা নিয়ে এডেন হ্যাজার্ডকে চেলসি থেকে নিয়ে এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে রিয়ালে চার মৌসুম কাটাতে চললেও চেলসির হ্যাজার্ডের দেখা খুব একটা মেলেনি।
লাগাতার চোট তো আছেই, রিয়ালের ফুটবলীয় সংস্কৃতির সঙ্গে এত দিনেও মানিয়ে নিতে না পারা, মাঠের ফুটবলে ছন্দ হারিয়ে ফেলায় হ্যাজার্ডের দায়ই বেশি। প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই ক্লাব–সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের। সেটা এতটাই যে কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ হয়ে গেছে।
বেলজিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘আরটিবিএফ’কে হ্যাজার্ড বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আছে। তবে আমাদের মধ্যে কথা হয় না।’
কাতার বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর স্প্যানিশ লা লিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি হ্যাজার্ড। বোঝাই যাচ্ছে, রিয়াল তাঁকে নিয়ে খুব একটা ভাবছে না। হয়তো বিক্রি করে দিতে পারলেই বাঁচে!
তবে এ মৌসুমে আর মাঠে নামার সুযোগ না পেলেও আনচেলত্তির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমবে না বলে জানিয়েছেন হ্যাজার্ড, ‘জোর গলায় বলতে পারি, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সব সময় থাকবে। এমনকি তিনি যদি আমাকে আর না-ও খেলান, তারপরও। ক্যারিয়ারে তিনি যা করেছেন, সে জন্য সম্মান জানাতেই হবে।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হ্যাজার্ডের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন আনচেলত্তিও। রিয়াল বস বলেছেন, ‘আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো নয়। তবে আপনাকে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। হ্যাজার্ড বিষয়টি নিয়ে বেশ সততার পরিচয় দিয়েছে। আমরা দুজন খুব বেশি কথা বলি না, তবে সেটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, আমরা কথা না বললেও সে আমাকে সম্মান করে। আমিও তাকে সম্মান করি।’
আগামী বছরের ৩০ জুন রিয়ালের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে হ্যাজার্ডের। গুঞ্জন আছে, এ মৌসুম শেষেই স্প্যানিশ ক্লাবটি তাঁকে ছেড়ে দেবে। তবে এত আগেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়ার ইচ্ছা নেই হ্যাজার্ডের, ‘আমাকে নিয়ে চারপাশে যে শঙ্কার ঘোর চলছে, তা বুঝতে পারছি। তবে আমি এখানে থেকে যেতে চাই, পরের বছরে খেলতে চাই। দেখিয়ে দিতে চাই, এখনো কী করতে পারি। আশা করি, দলের হয়ে অবদান রাখতে পারব। কোচও আমাকে বিবেচনা করবেন।’