অবশেষে ফিফা থেকে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এল দারুণ এক সুসংবাদ। লাল-সবুজ জার্সিতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার ছাড়পত্র মিলেছে হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটিতে খেলা এই মিডফিল্ডারের বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলতে আর কোনো বাধা নেই।
হামজার ফিফার ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন। এ ছাড়া একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হামজাও। বাফুফের পেজে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় হামজা বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের পক্ষে খেলতে যাচ্ছি। আশা করি, দ্রুতই দেখা হবে।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে হামজার সঙ্গে যোগাযোগ চলছিল অনেক দিন ধরেই। এত দিন বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলার খুব কাছে ছিলেন। বাফুফের আবেদনটা অবশ্য ঝুলে ছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে।
এর আগে গত জুনে বাংলাদেশের পাসপোর্টের আবেদন করেন হামজা। আগস্টে সেই পাসপোর্ট হাতে পান। এর পরপরই ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) ছাড়পত্র মেলে তাঁর।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে খেলার ঘটনা নতুন নয়। জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে শুরুটা হয় ২০১৩ সালে। এরপর ২০১৯ সালে বাংলাদেশের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পান ফিনল্যান্ডপ্রবাসী তারিক কাজী।
জামাল দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৮৪টি ম্যাচ খেলেছেন। অধিনায়কত্বও করেছেন। তারিক কাজীও দলের অপরিহার্য সদস্য। তবে হামজাকে নিয়ে বাড়তি আগ্রহ বা আলোচনার কারণ ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে খেলেছেন, এমন কেউ আগে বাংলাদেশের হয়ে খেলেনি।
২৬ বছর বয়সী হামজা বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটিতে খেলছেন, ক্লাবের অধিনায়কত্ব করেছেন এবং জিতেছেন এফএ কাপও। এ ছাড়া খেলেছেন ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা লিগ ও এর পরের ধাপ উয়েফা কনফারেন্স লিগেও। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের মধ্যে এর আগে শুধু তারিক কাজীই ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলেছেন।
হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তাঁর মা বাংলাদেশি। মায়ের বাড়ি ছিল সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায়। মায়ের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন, সিলেটেও ঘুরে গেছেন।