৩৯ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলেছেন ১২০ মিনিট, টাইব্রেকারে নিয়েছেন শটও। কিন্তু একই ম্যাচে ২৫ বছর বয়সী কিলিয়ান এমবাপ্পে খেলেছেন ১০৫ মিনিট। টাইব্রেকারে দরকার হতে পারে জেনেও তারকা ফরোয়ার্ডকে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামাননি ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম।
এমন নয় যে পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদো খুব ভালো খেলছিলেন আর এমবাপ্পে খেলছিলেন বাজে। তাহলে ঠিক কী কারণে পুরো সময় খেলানো হলো না এমবাপ্পেকে? নাকি নতুন করে চোট পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা? ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয়ের পর এমবাপ্পের বদলি নিয়ে এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে দিদিয়ের দেশমকে।
ম্যাচের পর মাঠের আনুষ্ঠানিকতা সেরে দেশম যখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন, তার আগেই মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এমবাপ্পে। কেন অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে খেলেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নব্বই মিনিটের পর কোচের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। দুজনই একমত হই যে আমি আবার মাঠে যাব। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর দেশমকে গিয়ে বলি, আমি আর চালিয়ে নিতে চাচ্ছি না। আমার খুব ক্লান্ত লাগছে।’
পরে দেশমও নিশ্চিত করেন, এমবাপ্পের চাওয়াতেই তাঁকে উঠিয়ে ব্রাডলি বারকোলাকে পাঠানো হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো খেলোয়াড়ের মধ্যে চোট লুকানোর যে প্রবণতা, সে দিকে ইঙ্গিত করে ফরাসি কোচ এমবাপ্পের প্রশংসাই করেছেন, ‘সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। নিজের এবং দলের প্রতি সে সব সময়ই সৎ। যখন মনে হয় পুরোদমে খেলতে পারবে না, বলে দেয়।’
এমবাপ্পে গ্রুপ পর্বে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নাকে চোট পেয়েছিলেন। এরপর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্রাম নিয়ে মাস্ক পরে ফেরেন পোল্যান্ড ম্যাচে। খেলেন শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের বিপক্ষেও। দেশমের কথায় স্পষ্ট, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি এমবাপ্পে, ‘আমরা কোনো খেলোয়াড়কেই হারিয়ে ফেলতে চাই না। তবে যা কিছু ঘটেছে, বিশেষ করে ওর পিঠে ব্যথা এবং নাক নিয়ে অস্বস্তির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সে তার সেরা অবস্থায় ছিল না, খুব ক্লান্ত বোধ করছিল।’
টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫–৩ গোলে হারানো ফ্রান্স সেমিফাইনাল খেলবে স্পেনের বিপক্ষে। মঙ্গলবারের ম্যাচটির আগে এমবাপ্পেকে শতভাগ ফিট হিসেবে চান দেশম। কারণ, শেষ চারে উঠে এলেও টুর্নামেন্টে ফ্রান্স এখন পর্যন্ত আক্রমণভাগে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। পর্তুগালের বিপক্ষে ১২০ মিনিটের খেলায় গোলই হয়নি, আগের চার ম্যাচে হয়েছে মাত্র তিন গোল। এর মধ্যে অস্ট্রিয়া ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুটি গোল ছিল আত্মঘাতী। পোল্যান্ডের বিপক্ষে করা এমবাপ্পের গোলটি পেনাল্টি থেকে।