বিমানবন্দরে কাল চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন ফুটবলাররা
বিমানবন্দরে কাল চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন ফুটবলাররা

সাফজয়ী ফুটবলার কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারের লাগেজের তালা ভাঙা, টাকা ও কাপড় চুরি

সাফজয়ী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামুসন্নাহারের লাগেজ থেকে ডলার, কাপড়চোপড় ও অন্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নেপাল থেকে ঢাকায় ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে।

কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে মেয়ে আমাকে ফোন করেছিল। ওর ভীষণ মন খারাপ। কৃষ্ণা আমাকে বলেছে, ওর লাগেজ থেকে ৪০০ ডলার চুরি করে নিয়েছে। আর শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকেও কিছু নেপালি টাকা ও কাপড়চোপড় হারিয়েছে।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান এমন ঘটনায় প্রচণ্ড হতাশ, ‘বিমানবন্দরে নামার পর জানতে পারি কৃষ্ণা, শামসুন্নাহারসহ আমাদের দলের ফিজিওর বেশ কিছু জিনিসপত্র খোয়া গেছে। টাকাপয়সাও হারিয়েছে। আমরা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কিরণ আপাকে (মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা উইং চেয়ারম্যান) জানিয়েছি। আপা এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আশা করি, এ ব্যাপারে একটা সমাধান হবে।’

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে ছাদখোলা বাসে উৎসব করে খেলোয়াড়দের আনা হয় বাফুফে ভবনে। কিন্তু চুরির ঘটনা টের পাওয়ার পরই মেয়েদের উৎসবের রেশ ম্লান হয়ে আসে

গতকাল বিমানবন্দরে সাফজয়ী ফুটবলাররা নামার পর চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। সকাল থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিল অসংখ্য মানুষ।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কয়েক শ সাংবাদিকের ভিড় ছিল। ইমিগ্রেশন শেষ করে নারী ফুটবলারদের যে পথে আসার কথা ছিল, ওই পথে ছিল অসংখ্য সাংবাদিকের ভিড়। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়। মেয়েরা উঠে পড়েন ছাদখোলা বাসে।

বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্টের এক পাশে পড়ে ছিল সাবিনা, কৃষ্ণাদের লাগেজগুলো। সেখানে থাকা কয়েক কর্মকর্তা কাল বলছিলেন, ‘এই লাগেজগুলো কাদের? কেউ নিচ্ছে না কেন?’ এরপর বাফুফের পক্ষ থেকে মেয়েদের লাগেজগুলো সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু বাফুফে ভবনে গিয়ে খেলোয়াড়দের কয়েকজন নিজেদের লাগেজের তালা ভাঙা পান।