বিমল করের মরদেহ বাফুফেতে আনা হয়
বিমল করের মরদেহ বাফুফেতে আনা হয়

নীরবেই চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এক সৈনিক

অনেক বছর ধরেই ফুটবলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তাঁর। দেশের ফুটবলের কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি। আড়ালে থাকতেই ভালোবাসতেন। আড়াল থেকেই পৃথিবীকে চিরবিদায় জানালেন বাংলাদেশের ফুটবলের চিরস্মরণীয় এক নাম—বিমল কর।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই খেলোয়াড় আজ সকালে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বিকেলে মতিঝিল বাফুফে ভবন চত্বরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে উঠে আসা বিমল কর থাকতেন ঢাকায়।

বিমল ১৯৭১ সালে তরুণ বয়সে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে। ঐতিহাসিক সেই দলটির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন তিনি। এমন সতীর্থকে হারিয়ে আবেগাপ্লুত স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ–অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, ‘যত দূর মনে পড়ছে, ১৯৬৫ বা ’৬৬ সালে বিমলের সঙ্গে চট্টগ্রাম লিগে আমার প্রথম দেখা। তারপর ১৯৬৬ সালে ঢাকার ভিক্টোরিয়া ক্লাবে খেলতে আসে বিমল। খেলার প্রতি একাগ্রতা থাকলে অনেক বড় খেলোয়াড় হতে পারত। কিন্তু কোথাও যেন খেলাটার প্রতি খুব সিরিয়াস ছিল না।’

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় বিমল কর

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের রক্ষণে বিমল করের সঙ্গে সেন্টারব্যাকে জুটি বেঁধে খেলেছেন শেখ আশরাফ আলী। অনেক দিন তাঁদের মধ্যে দেখা হয়নি। তবে আজ বিমল করের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্মৃতিকাতর শেখ আশরাফ আলীও, ‘বিমলদা আমার সিনিয়র ছিলেন। চট্টগ্রামে লিগ খেলেছেন। রেফারিং করেছেন। মনে পড়ছে, বর্ধমানে পিন্টু ভাই যাননি। তখন আমি আর বিমলদা স্টপারে খেলি। রাইট ব্যাকে আইনুল, লেফট ব্যাকে হাকিম। বিমলদা অনেকগুলো ম্যাচই খেলেছেন। ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁকে কখনো ভোলা যাবে না।’

বিমল করের মৃত্যুতে বাফুফে গভীর শোক জানিয়েছে।