ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গো মহাবিপদেই পড়েছে। ক্লাবটির হিসাবরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা একটু সতর্ক হলেই এই বিপদ অবশ্য এড়ানো যেত।
তবে পেশাদার ফুটবলের দুনিয়ায় সাধারণত এমন ঘটনা বিরল। ফ্লামেঙ্গোর বিপদটা হয়েছে একই নামে দুটি ভিন্ন খেলায় দুজন খেলোয়াড় থাকায়।
সম্প্রতি ফ্লামেঙ্গো জোয়াও গোমেজ নামের এক খেলোয়াড়কে ইংলিশ ক্লাব উলভারহাম্পটনের কাছে বিক্রি করেছে। ট্রান্সফার ফির অংশ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক মিলিয়ে গোমেজের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ বেশ ভালোই। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৯২ লাখ ১৭ হাজার টাকা। উলভারহাম্পটন দলবদলের টাকা ফ্লামেঙ্গোকে পাঠিয়ে দিলেও ফ্লামেঙ্গোর বিপদটা হয়েছে যখন তা গোমেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।
ফ্লামেঙ্গোতে জোয়াও গোমেজ নামে আরও একজন খেলোয়াড় আছেন। তিনি ফুটবলার নন, বাস্কেটবল দলের সদস্য। দুজনেরই পুরো নাম একই—জোয়াও ভিক্তর গোমেজ দা সিলভা।
বাস্কেটবল খেলোয়াড় গোমেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বার্তা আসে তাঁর মায়ের কাছে। বড় অঙ্কের অর্থ হিসাবে ঢোকার বার্তা পেয়েই তিনি ছেলেকে জানান। এ নিয়ে গোমেজ বলেছেন, ‘আমার মা যখন আমাকে এই পরিমাণ অর্থ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ঢোকার ব্যাপারটি জানালেন, আমি রীতিমতো আতঙ্কিত বোধ করছিলাম। আমার আশঙ্কা হচ্ছিল, আমার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থপাচারের কোনো ঘটনা ঘটছে কি না। আমি ব্যাপারটা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাবকে জানাই।’
বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের কাছ থেকে জানার পর ফ্লামেঙ্গোর হিসাবরক্ষণ বিভাগের কর্মীদের মাথায় হাত। তারা দেখেন উলভারহাম্পটনের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ ফুটবলার গোমেজকে না পাঠিয়ে তাঁরা পাঠিয়েছেন বাস্কেটবল খেলোয়াড় গোমেজকে!
এই ভুল পুরোপুরি খুঁজে বের করতেও তাঁদের দুই দিন লেগে গেছে। পরে আইনজীবীর উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাজিলীয় ক্লাবটি। আইন অনুযায়ী বাস্কেটবল খেলোয়াড় গোমেজকে সেই অর্থ ফেরত দিতে হয়েছে।