ধর্ষণের অভিযোগে আদালত দানি আলভেজের সাজার রায় ঘোষণার আগে স্পেনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গিয়েছিল, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৯ বছরের জেলও হতে পারে ব্রাজিলিয়ান তারকার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আদালত আলভেজকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে। এই অর্থ ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএলের দাবি, ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সাজার পরিমাণ কমিয়েছেন আলভেজ। আর না হলে তাঁর কারাদণ্ডের শাস্তিটা আরও বেশিই হতো। সংবাদমাধ্যমটি এ–ও দাবি করেছে যে আলভেজের জরিমানার পুরো অর্থেরই জোগান দিয়েছে নেইমারের পরিবার। এমন একজন অপরাধীকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করায় নেইমারকে ধুয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টির প্রেসিডেন্ট গ্লেইসি হফম্যান।
আদালত আলভেজকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর ব্রাজিলের মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী চিদা গনকালভেস স্পোর্ত পত্রিকাকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এমন নৃশংস অপরাধের জন্য শাস্তিটা খুব কম হয়ে গেছে।’
আলভেজের শাস্তি কমাতে জরিমানার অর্থ দিয়ে সাহায্য করা তাঁর ব্রাজিল ও বার্সেলোনা দলের সাবেক সতীর্থ নেইমারের কড়া সমালোচনা করেছেন হফম্যান। ফুটবল এস্পানা পত্রিকাকে হফম্যান বলেছেন, ‘ধর্ষক দানি আলভেজের শাস্তিটা অনুকরণীয়। এটা দেখিয়েছে, সমাজ যৌন হেনস্তাকারী আর নারীবিদ্বেষীদের বরদাস্ত করে না।’
হফম্যান এরপর যোগ করেন, ‘অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এই যে সে অর্থ ধার করেছে নেইমারের কাছ থেকে। সে ক্ষতিপূরণ দিয়ে শাস্তি কমিয়েছে, যা কিনা ভুক্তভোগীর সমস্যার সমাধান করবে না। এটা তাদের যন্ত্রণাও লাঘব করতে পারবে না।’
ধারণা করা হচ্ছে, আলভেজ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। সেই আপিলের রায় কী হবে, তা পরেই জানা যাবে। স্পেনে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাধারণত ৪ থেকে ১৫ বছরের জেল হয়। সেদিক থেকে আলভেজ সর্বনিম্ন সাজাই পেয়েছেন।