বাফুফের এজিএম–এ বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন (মাঝে)
বাফুফের এজিএম–এ বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন (মাঝে)

সালাহউদ্দীনের চাওয়া, ‘সৎ ও ফুটবলপ্রেমীরাই যেন নতুন কমিটিতে আসে’

বাফুফে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগে আগে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এজিএমে ৬১ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়নি। অধিকাংশ ডেলিগেট মত দিয়েছেন, যেহেতু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি আসবে, তারাই ২০২৫ সালের বাজেট পাস করুক। এ সময় বাফুফের বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন আসন্ন নতুন কমিটি নিয়ে নিজের একটি চাওয়ার কথাও সেখানে তুলে ধরেছেন।

এজিএমে বাজেট পেশ করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন। ফেডারেশনের প্রস্তাবিত ৬১ কোটি টাকা বাজেটে আয় দেখানো হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। যেখানে ঘাটতি বাজেট ১৪ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে এবারের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহসভাপতি পদে এরই মধ্যে নির্বাচিত হওয়া ইমরুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নতুন বছরের প্রস্তাবিত বাজেটও দেওয়া হয়েছিল। তবে অধিকাংশ ডেলিগেটের দাবি ছিল, যেহেতু নতুন কমিটি আসছে, নতুন কমিটির সামনেই যেন সেটা পেশ করা হয়। সেটা আগামীতে উপস্থাপন করা হবে।’

এই প্রথমবারের মতো বাফুফের এজিএমে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধি। এনএসসির সচিব মো. আমিনুল ইসলাম প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরকারের কিছু দিকনির্দেশনা বাফুফের ডেলিগেটদের সামনে তুলে ধরেন।

বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাহউদ্দীনের উদ্ধৃতি দিয়ে ইমরুল হাসান বলেন, ‘সালাহউদ্দীন ভাই তাঁর বিদায়ী ভাষণে যেটা বলেছেন, ডেলিগেটরা যেন নতুন কমিটি সততার সঙ্গে নির্বাচন করেন। যাঁদের ফুটবল সম্পর্কে ধারণা আছে, ফুটবল যাঁরা পছন্দ করেন—এমন সৎ ও নিষ্ঠাবান ফুটবলপ্রেমীরাই যেন নতুন কমিটিতে আসেন, সেটি তিনি সবাইকে বলেছেন।’

এজিএমে উপস্থাপিত বাজেটে জেলা ফুটবল নিয়ে কিছু নেই বলে অভিযোগ ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানের, ‘বাজেটে জেলা ফুটবল নিয়ে কিছু নেই। আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়েও অনেক আপত্তি আছে।’