দুজনের আগে কখনো দেখা হয়নি, ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমেও যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু সহযোগিতার হাত বাড়াতে ফুটবলার পরিচয়টাই যথেষ্ট ছিল মার্কাস রাশফোর্ডের জন্য।
ঘটনাটা খোলাসা করা যাক। ম্যানচেস্টারের চায়নাহোয়াইট নামের একটি নৈশ ক্লাবে গিয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলার নারী ফুটবল দলের সুইস ফরোয়ার্ড অ্যালিশা লেম্যান। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই নারী ফুটবলার সেখানে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। বেশ কয়কেজন বখাটে নৈশ ক্লাবে লেম্যানকে ঘিরে ফেলে।
ঘটনাক্রমে সেদিন ওই নৈশ ক্লাবে ছিলেন রাশফোর্ডও। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই এগিয়ে আসেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড। বখাটেদের হাত থেকে ‘উদ্ধার’ করে লেম্যানকে নিয়ে যান নিরাপদ স্থানে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’কে ওই রাতের ঘটনার বিবরণ দেয় চায়নাহোয়াইট নৈশ ক্লাবের একটি সূত্র। সেখানকার একজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘সে রাতেই প্রথমবার তাদের দেখা হয়েছে। তবে মার্কাস (রাশফোর্ড) জানত লেম্যান কে। সে একটি টেবিল পরিষ্কার করে ফেলে এবং লেম্যান আর তাঁর বন্ধুদের সেখানে নিয়ে যায়। ওদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা হয়। লেম্যান মার্কাসকে ধন্যবাদ জানায় এবং ভদ্রলোক হিসেবে অভিহিত করে। এরপর পার্টি আবার শুরু হয়।’
রাশফোর্ডের মানবিক সহায়তার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় ১৩ লাখ স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে আহারের ব্যবস্থা করেছিলেন ২৫ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড। রানির জন্মদিনে পেয়েছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আদেশ (এমবিই) সম্মামনা।
তবে নৈশ ক্লাবের ওই ঘটনার পর থেকে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, রাশফোর্ড–লেম্যান কি তাহলে প্রেম করেছেন? বাগদত্তা লুসিয়া লুইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর এ ভাবনাটা ভক্তদের মনে আরও জেঁকে বসেছিল।
তবে ব্যাপারটা এত দূর গড়ায়নি। রাশফোর্ড নতুন করে প্রেমে পড়েছেন ঠিকই। তবে লেম্যানের সঙ্গে নয়; নাটালিয়া জোপ্পা নামের এক তরুণীর সঙ্গে। নাটালিয়া একজন টিভি ব্যক্তিত্ব। ‘লাভ আইল্যান্ড’ নামের একটি টিভি সিরিজে অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। তাঁকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মালিবুতে ঘুরতে গেছেন রাশফোর্ড।
আর লেম্যান এখন সুইজারল্যান্ড দলের সঙ্গে নারী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০ জুলাই অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ডে শুরু নারী বিশ্বকাপ। বিশ্ব আসরে অংশ নিতে যাওয়ার আগেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী ফুটবলার হওয়ার সুখবর পেয়েছেন। নিয়েলসেন ইনফ্লুয়েন্সস্কোপের তথ্য অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালেক্স মরগানকে ছাড়িয়ে নারী ফুটবলারদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছেন লেম্যান।