সৌদি ক্লাব আল নাসরে অকল্পনীয় অর্থের বিনিময়ে যোগ দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এখানে বছরে তিনি ২১ কোটি মার্কিন ডলার আয় করবেন, যেটি ফুটবল তো বটেই, খেলাধুলার ইতিহাসেই সর্বোচ্চ। বলা হচ্ছে, পাঁচবারের এই ব্যালন ডি’অরজয়ী সৌদি আরবে বেতন, ইমেজ–স্বত্ব ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম মিলিয়ে যে আয় করবেন, সে পরিমাণ আয় করতে বিশ্বের অনেক তারকা ফুটবলারের কয়েক বছর লেগে যাবে। এর পাশাপাশি পরিবার নিয়ে বিলাস-ভূষণে মোড়া একটা জীবনেরও নিশ্চয়তা পেয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। কিন্তু রোনালদো যে সৌদি আরবে পা রেখেই তাদের একটা কঠোর আইন ভঙ্গ করে ফেলেছেন!
রোনালদোর ইউরোপীয় ঘরানার জীবনাচার সৌদি আরবে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তিনি সৌদি আরবে থাকবেন তাঁর সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও সন্তানদের নিয়ে। কিন্তু সৌদি আরবের আইনে যে তাঁর ও জর্জিনার সম্পর্কটা অবৈধই। সন্তানের জনক-জননী হলেও রোনালদো ও জর্জিনা বিয়ে করেননি। সৌদি আরবের আইনে এটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। এখন তাহলে রোনালদোর কী হবে। তবে এটা ঠিক, আল নাসরের সঙ্গে চুক্তির সময় নিশ্চয়ই রোনালদো এই ব্যাপার নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষও ওয়াকিবহাল রোনালদো-জর্জিনার সম্পর্ক নিয়ে।
ব্যাপারটি নিয়ে ফুটবল এসপানা কথা বলেছে সৌদি আরবের দুই আইনবিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তাঁরা অবশ্য বলেছেন, সৌদি আইনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলেও অন্য যেকোনো পশ্চিমা নাগরিকের বেলায় যেমনটি হয়, সৌদি কর্তৃপক্ষও রোনালদোর ব্যাপারটি একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ সাধারণত পশ্চিমা নাগরিকদের এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না।
একজন আইনবিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘যদিও বিয়ে ছাড়া এক ছাদের নিচে দুই নারী-পুরুষের বসবাস করা সৌদি আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, তারপরও রোনালদোর ব্যাপারটিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ মাথা ঘামাবে না। সাধারণত পশ্চিমাদের ক্ষেত্রে এসব আইন প্রয়োগ করা হয় না।’
আরেক আইনজীবীও একই কথা বলেছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করে না। বিদেশি, বিশেষ করে পশ্চিমাদের এসব বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ মাথা ঘামাতেও রাজি নয়। তবে দেশের নাগরিকদের জন্য এই আইন কঠোরভাবেই মেনে চলা হবে।
রোনালদো-ভক্তদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সৌদি আরবের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন ভাঙলেও রোনালদোকে শাস্তি পেতে হচ্ছে না।