আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দো মায়ো এখন অতীতের ব্যাপার জামাল ভূঁইয়ার কাছে। খেলছেন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডে। দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবে কেমন কাটছে জামালের? খুব বেশি নিয়মিত খেলার সুযোগ তাঁর হচ্ছে না। লিগের দ্বিতীয় পর্বে যে কয়টি ম্যাচ খেলেছেন, পুরো সময় খেলার সুযোগ হয়নি। যদিও জামাল এসব নিয়ে ভাবছেন না। আবাহনীর আকাশি নীল জার্সি পরতে পেরেই আনন্দিত জামাল, ‘আবাহনী অনেক বড় ক্লাব। আমি এই ক্লাবে খেলতে পেরে গর্বিত।’
কথাগুলো বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাঠে দাঁড়িয়ে। সেখানে তিনি অ্যাপলো টায়ার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যৌথ উদ্যোগে ‘ইউনাইটেড উই প্লে’ নামের একটি খেলোয়াড় বাছাই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রধান অতিথি হয়ে। অনুশীলন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন, উৎসাহিত করেছেন। দুই দিনব্যাপী এই অনুশীলন কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে দুই শ ছেলে–মেয়ে অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্য তিনজনকে চূড়ান্ত বাছাই করা হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে প্রশিক্ষণের জন্য। জামাল এই অনুশীলন কর্মসূচিতে এসে কিছুটা আবেগ আপ্লুতই হলেন, ‘কত স্বপ্ন নিয়ে ফুটবলাররা এসেছে। আমি অভিনন্দন জানাই, যারা চূড়ান্ত বাছাইয়ে সফল হয়েছে। যারা সফল হয়নি, তাদের মন খারাপ করার কিছু নেই। যাদের চূড়ান্ত বাছাইয়ে নাম ওঠেনি, আমি বরং তাদের অনুপ্রাণিত করতে চাই। বলতে চাই, তোমাদের সামনে অনেক সময় পড়ে রয়েছে। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।’
নিয়মিত না খেলার ব্যাপারে তাঁর কথা, ‘আমি দুটি ম্যাচ খেলেছি। দুটিতেই আমরা জিতেছি। আমি আসলে কয়েকটি ম্যাচে পুরোপুরি ফিট ছিলাম না। ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত ছিলাম। তাই খেলতে পারিনি।’ যে দুটি ম্যাচে খেলেছেন সে দুটিতেও পুরো সময় না খেলা নিয়ে তাঁর কোনো হতাশা নেই বলেই জানিয়েছেন জামাল, ‘না এ ব্যাপারে আমার কোনো হতাশা নেই। সুযোগ হবে সামনে, এটা জানি।’
সামনের মাসেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। এবার অবশ্য ম্যাচটি ঢাকার কিংস অ্যারেনার পরিচিত পরিবেশে। গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই মেলবোর্নে ৭–০ গোলে হারের স্মৃতি আছে। তবে জামাল এখনই এই ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন না, ‘অস্ট্রেলিয়া তো অবশ্য অনেক শক্তিশালী দল। তবে তাদের নিয়ে এখনই ভাবছি না। এখনো এক মাস বাকি আছে ম্যাচের। এর মধ্যে আমরা লিগের বাকি ম্যাচগুলো খেলব। ঘরের মাঠের একটা সুবিধা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাব। আমরা আগের ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছি, সেটা করা যাবে না।’
মার্চে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ দল খুব একটা ভালো খেলেনি। কুয়েতে ৫–০ গোলে হারতে হয়েছে। তবে ঢাকার ম্যাচটা লড়াই করেই হেরেছে দল। সে ম্যাচে কোচ বা দলের কৌশল নিয়ে সমালোচনা করেছেন খোদ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন সমালোচনা করেছেন কোচ কাবরেরার কৌশল। কাবরেরা অবশ্য নিজে বলেছেন তিনি সালাহউদ্দিনের সমালোচনাকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবেই দেখছেন। তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন কাবরেরার সমালোচনা। অধিনায়ক জামাল কী ভাবছেন বাফুফে সভাপতির সমালোচনা নিয়ে, ‘দেখুন, প্রত্যেকেরই তো নিজের অভিমত আছে। সভাপতি নিজের মতামত দিয়েছেন। এতে খারাপ কিছু নেই। সমালোচনা উনি করতেই পারেন। কোচের কৌশল নিয়ে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই। তিনি আমাদের শিক্ষক। উনি যেভাবে শেখাবেন, যেভাবে বলবেন, সেভাবেই আমরা খেলব।’