রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চান লুকা মদরিচ
রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চান লুকা মদরিচ

রিয়ালে থেকে যেতে সম্ভাব্য সবকিছু করবেন মদরিচ

বয়স ৩৭ বছর পেরিয়ে গেছে। এই বয়সে পা রাখার আগেই অনেক আগেই বহু রথী-মহারথী খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন। লুকা মদরিচ সেই দলের নন। জাতীয় দল ক্রোয়েশিয়াকে যেমন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, রিয়াল মাদ্রিদেও একইভাবে ভরসার প্রতীক হয়ে আছেন।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মেসুত ওজিল, আনহেল দি মারিয়া, সের্হিও রামোস, কাসেমিরোর মতো তারকারা রিয়াল ছেড়ে চলে গেলেও মদরিচ এখনো রয়ে গেছেন। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের প্রস্তাবে রোনালদো রাজি হলেও তিনি সরাসরি ‘না’ বলে দিয়েছেন। কিন্তু এ মৌসুম শেষেই যে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে তাঁর। তখন কী হবে?

মদরিচ জানিয়েছেন, অবসরের পরিকল্পনা তো নেই-ই; বরং আরও কঠিন পরিশ্রম করে রিয়াল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কেড়ে ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াবেন।

আজ রাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে শেষ ষোলোর প্রথম লেগ খেলতে নামছে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। অ্যানফিল্ডে পৌঁছে মদরিচ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এখানে (সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে) থেকে যেতে যা যা করতে হয়, করছি। ক্লাবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সব সময়ই ভালো। এটা বদলাবে না।’

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পর মদরিচকে পেতে উঠেপড়ে লেগেছিল ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান। দেশটির আরেক পরাশক্তি ক্লাব জুভেন্টাস ওই বছরই রোনালদোকে দলে ভেড়ানোয় ক্রোয়াট অধিনায়ককে কিছুতেই ছাড়তে চায়নি রিয়াল। দফায় দফায় চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তাঁকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই রেখে দিয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি।

২০১২ সালে টটেনহাম ছেড়ে রিয়ালে আসা মদরিচ সর্বশেষ গত বছর ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন। সে প্রসঙ্গ টেনেই বলেছেন, ‘গত বছরের মতোই আমার কোনো তাড়া নেই। এখন মৌসুমের মাঝপথে আছি। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। আমার মনোযোগ সেদিকেই। আবারও নিজেকে সর্বোচ্চ স্তরে নিতে চাই। তারপর দেখা যাক, কী হয়।’

রিয়ালের হয়ে সর্বজয়ী মদরিচকে কোচ কার্লো আনচেলত্তিও দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করেন। মদরিচের সঙ্গে টনি ক্রুস ও কাসেমিরোকে নিয়ে গড়ে ওঠা অভিজ্ঞতায় টইটম্বুর মাঝমাঠকে ‘রিয়ালের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ নাম দিয়েছিলেন আনচেলত্তি। কোনো রকম ইঙ্গিত ছাড়াই গত বছর কাসেমিরো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে চলে যাওয়ায় বিখ্যাত সেই ত্রিভুজ ভেঙে গেছে। আনচেলত্তি নিশ্চয়ই এবার ‘মিডফিল্ড জেনারেল’ মদরিচকে হারাতে চাইবেন না!

কাসেমিরো ও টনি ক্রুসকে নিয়ে ইতিহাসের অন্যতম সেরা মাঝমাঠ ত্রয়ী গড়ে তোলেন মদরিচ

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে ৩১ ম্যাচে ৬ গোল করেছেন মদরিচ, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৩টি। লা লিগায় চোটের কারণে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া সব কটিই খেলেছেন তিনি।