জয়ের ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। গত জানুয়ারিতে টানা তিন ম্যাচে ড্র করার পর বুন্দেসলিগায় টানা দুই ম্যাচে জিতেছিল ইউলিয়ান নাগলসমানের দল। তবে গত রাতে মনশেনগ্লাডবাখের কাছে ৩-২ গোলে হেরে সেই জয়ের ধারায় ধাক্কা লাগল বায়ার্নের।
সঙ্গে লিগে তাদের শীর্ষস্থানও কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়েছে এ হারে। মনশেনগ্লাডবাখের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তে খুশি নন নাগলসমান।বায়ার্ন কোচ রেফারির প্রতি এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে ম্যাচ শেষে রেফারিদের কক্ষে গিয়ে তাঁকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলেও কটাক্ষ করে এসেছেন।
ঘটনাটা ম্যাচের শুরুর দিকেরই। বায়ার্নের গোলমুখী অ্যালাজানে প্লেকে পেছন থেকে বাধা দেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার দায়ত উপামেকানো। রেফারি উপামেকানোকে লাল কার্ড দেখান। শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বায়ার্ন পুরো ম্যাচে নিজেদের সহজাত ফুটবলটা খেলতে পারেননি। নাগলসমানের ক্ষোভটা সেখানেই।
কেন রেফারির সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন নাগলসমান। জার্মান এক টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, ‘প্লিকে খুব হালকাভাবে স্পর্শ করেছিল দায়ত। সে ওকে ধরে রাখেনি কিংবা ওর ভারসাম্য নষ্ট করেনি। প্লির কাঁধ একটুও নড়েনি। এখানে কোনো ভুলই ছিল না। মানছি, রেফারিও মানুষ। ভুল হতে পারে, সমস্যা নেই। কিন্তু ওটা কোনোভাবেই লাল কার্ড ছিল না।’চেতনা ফিরেছে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া চেলসি অধিনায়কের
ম্যাচ শেষে রেফারিদের কক্ষে গিয়ে ম্যাচ অফিশিয়ালদের মেরুদণ্ডহীন বলে কটাক্ষ করেছেন বলে জানিয়েছেন ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকেরা। এমন কিছু যে সত্যিই ঘটেছিল, তা নাগলসমানের ক্ষমা চাওয়াতেই স্পষ্ট বোঝা যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘আবেগ খেলারই একটা অংশ। এরপরও ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে আমি যেভাবে কথা বলেছি, আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
পয়েন্ট তালিকার ২ নম্বরে থাকা ইউনিয়ন বার্লিনের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্টে এগিয়ে আছে বায়ার্ন। রোববার শালকের বিপক্ষে বার্লিন জয় পেলে তালিকার ২ নম্বরে নেমে যাবে মিউনিখের দলটি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কাতেই হয়তো একটু বেশিই প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলেছিলেন বায়ার্নের এই কোচ!