এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি থাকবে গ্রুপ ‘এফ’এ। ‘মৃত্যুকূপ’ হওয়ায় এই গ্রুপের প্রতিটি ম্যাচ রীতিমতো বাঁচা-মরার। সামান্য একটা ভুল বাদ পড়ার কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শুরুটা দারুণভাবেই করেছে পিএসজি। প্রথমার্ধে দাপুটে খেলা পিএসজিকে আটকে রাখতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর পারেনি ডর্টমুন্ড। প্রথমে কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং পরে আশরাফ হাকিমির গোলে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে প্যারিস জায়ান্টরা।
পিএসজির জন্য এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগটা নতুন শুরু হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এর আগে নেইমার এবং লিওনেল মেসিকে এনে এই ট্রফিটিতে নিজেদের নাম লেখানোর চেষ্টা করেছিল তারা। যদিও তাতে সফল হয়নি কাতারি মালিকানাধীন ক্লাবটি। নেইমারকে নিয়ে একবার ফাইনাল খেললেও চূড়ান্ত ধাপটা আর পেরোনো হয়নি।
এ দুজন ক্লাব ছাড়ায় এখন সবার চোখ এমবাপ্পের ওপর। এমবাপ্পের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণকে পাখির চোখ করে পিএসজি। তবে দাপুটে আক্রমণের পরও বক্সের কাছাকাছি গিয়ে সুবিধা করতে পারছিল না তারা । উল্টো প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল প্রায় খেয়েই ফেলেছিল। তবে গিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মার কারণে সে যাত্রায় বেঁচে যায় পিএসজি। একটু পর গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। এরপর ১৯ মিনিটে পিএসজিকে গোলবঞ্চিত পোস্ট। আশরাফ হাকিমির কাছ থেকে বল পেয়ে শট নেন ভিতিনহা। কিন্তু পোস্টে লাগায় হতাশ হতে হয় পিএসজিকে।
ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট পিএসজির দাপট সামলানো এবং প্রতি-আক্রমণে যাওয়ার জন্য সুযোগের অপেক্ষাতেই কেটেছে ডর্টমুন্ডের। অন্য দিকে পিএসজি মূলত ফিনিশিংয়ে অভাবে গোলবঞ্চিত হচ্ছিল বারবার। এমনকি বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েও চেষ্টা করেছেন এমবাপ্পে। যদিও তাতে আসেনি সাফল্য। এর মধ্যে ডর্টমুন্ডের এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পাওয়ার সুযোগ এসেছিল পিএসজির সামনে। কিন্তু ভিএআর পরীক্ষার পর ডর্টমুন্ডের পক্ষে যায় সে সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত তাই ৭৮ শতাংশ বলের দখল রেখেও হতাশা নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় পিএসজিকে।
বিরতির পর অবশ্য গোল পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি পিএসজিকে। নিজের আদায় করা পেনাল্টিতে গোল করে প্যারিসের ক্লাবটিকে লিড এনে দেন এমবাপ্পে। এরপর ৫৮ মিনিটে হাকিমির দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান ২-০ করে পিএসজি। ভিতিনহার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণভাবে এক ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করে এই মরোক্কান তারকা। এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে গোলের। কিন্তু কেউ আর গোলের দেখা পায়নি।
একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে ২০ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরে প্রথম ম্যাচে এসি মিলানকে তাদের মাঠে রুখে দিয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। আগের ম্যাচে সিরি আ’তে ইন্টার মিলানের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া এসি মিলান অবশ্য ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েছে। ৫২ শতাংশ বলের দখল রাখা মিলান সব মিলিয়ে শট নিয়েছে ২৫টি। যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। যদিও কোনোটিই গোলে পরিণত হয়নি। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ ভাগে মিলানের একের পর এক আক্রমণ সামলেই সময় কেটেছে নিউক্যাসলের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সান সিরো থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই বাড়ি গেছে এডি হাউয়ের দল।