তিনি আক্রমণভাগের খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষই তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আর্জেন্টাইন উইঙ্গার নিকোলাস গঞ্জালেস আজ নিজেই প্রতিপক্ষের একজনকে আটকাতে গেছেন, তা–ও পেছন থেকে পায়ের গোড়ালি টেনে ধরে। ফুটবল মাঠে নানা ধাঁচের ফাউল দেখা গেলেও গঞ্জালেসের ফাউলের দৃশ্যটিতে মজা পেয়েছেন অনেকেই।
যে কারণে ছবি আর ভিডিও হয়ে ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। কোপা আমেরিকার ম্যাচে চিলির মরিসিও ইসলাকে করা গঞ্জালেসের ফাউল এখন রীতিমতো ‘ভাইরাল’। কেউ এর সঙ্গে মেলাচ্ছেন কুস্তি, কেউবা কাবাডি। ‘আর্জেন্টিনাবিরোধী’ অনেকে এটিকে ব্যবহার করছেন টিপ্পনীর প্রতীক হিসেবে। তবে ব্যাপারটা উপভোগ করছেন খোদ গঞ্জালেসও। নিজেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পেছন থেকে পা টেনে ধরার ছবিটি পোস্ট করেছেন।
ঘটনাটা ম্যাচের ৬১তম মিনিটের। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা–চিলি ম্যাচ তখনো গোলশূন্য সমতায়। আনহেল দি মারিয়ার জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া গঞ্জালেস ডান পাশ দিয়ে বল নিয়ে চিলির বক্সে ঢুকছিলেন। এমন সময় চিলি রাইটব্যাক ইসলা সামনের দিক থেকে এসে তাঁকে ট্যাকল করে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। গঞ্জালেস মাটিতে পড়তে পড়তেই ইসলার পায়ে হাত দেন। ইসলা বাধাপ্রাপ্ত হলেও বল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু মাটিতে পড়ে গিয়েও মরিয়া গঞ্জালেস ইসলার গোড়ালি টেনে ধরেন। ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান ইসলাও।
সাধারণত সম্ভাব্য গোলের আক্রমণ ঠেকাতেই ডিফেন্ডাররা মরিয়া চেষ্টায় ফরোয়ার্ডদের আটকে থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে ফাউলের শিকার হওয়া খেলোয়াড়ের শর্টস নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অতীতে। কিন্তু আক্রমণে গিয়ে গঞ্জালেসের বল ফিরে পেতে (কিংবা ফাউলের জবাবে ফাউল করতে) একজন ডিফেন্ডারের পায়ের গোড়ালি টেনে ধরার দৃশ্য বেশ হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। নানা ঘটনা ও নানা উপমায় যা ছড়িয়ে পড়েছে অনেকের টাইমলাইনে।
ম্যাচের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা ছিল না এটি। ম্যাচ রেফারি নিজেও এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো ঘটনাটা আলোড়িত করেছে গঞ্জালেসকে।
ইতালিয়ান ক্লাব ফিওরেন্তিনায় খেলা এই উইঙ্গার আর্জেন্টিনা–চিলি ম্যাচ নিয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে চারটি ছবি পোস্ট করেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ ছবি হচ্ছে পেছন থেকে ইসলার পা টেনে ধরার দৃশ্য। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন দুরকমের হাসির ইমোজি।