বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে তিন মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো নতুন কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি ব্রাজিল। বিশ্বকাপ থেকে সেলেসাওদের বিদায়ের পরপরই সরে দাঁড়ান কোচ তিতে। এর পর থেকে ব্রাজিলের নতুন কোচ নিয়োগ নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে অনেক। দেশি কোচ নাকি বিদেশি কোচ—এ নিয়ে দুই ভাগ হয়েছেন দেশটির ফুটবল কিংবদন্তিরাও। আর কোচ হিসেবে শোনা গেছে, জোসে মরিনিও, কার্লো আনচেলত্তি, জিনেদিন জিদান, লুইস এনরিকেসহ একাধিক নাম।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে চূড়ান্ত করতে পারেনি তারা। মাঝে একবার আনচেলত্তিকে আনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা শোনা গেলেও ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন সেই খবর সঠিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। সর্বশেষ মরক্কোর বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করেন র্যামন মেনেজেস। কিন্তু ম্যাচটিতে ২-১ গোলে হারের পর স্থায়ী কোচের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়।
কিন্তু এখনো এ বিষয়ে মুখ বন্ধই রেখেছে ব্রাজিল ফুটবলের কর্তাব্যক্তিরা। তবে কি তারা মৌসুম শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন? আনচেলত্তিরও যে এই মৌসুম শেষে রিয়াল ছাড়ার কথা। রিয়াল ছেড়ে আনচেলত্তি কি তবে ব্রাজিলের বিমান ধরবেন? আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসও অবশ্য তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে। পাশাপাশি তারা আনচেলত্তি রিয়াল ছাড়ার পর পচেত্তিনোর রিয়ালের কোচ হয়ে আসার কথাও জানিয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বিরতির সময় ব্রাজিল দলের ভেতরেও আনচেলত্তির কোচ হয়ে আসা নিয়ে কথা হয়েছে। দলের গোলরক্ষক এদেরসন বলেছিলেন, ‘আমি কাসেমিরো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, (এদের) মিলিতাওয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর (আনচেলত্তি) আসার জোরালো সম্ভাবনা আছে।’ সব হিসাব–নিকাশ এখন আনচেলত্তির ব্রাজিলের আসার সম্ভাবনাটাকেই জোরালো করছে।
টিওয়াইসি স্পোর্টস অবশ্য আনচেলত্তি যাওয়ার পর রিয়ালকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবে সেটাও জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাদের বাজির ঘোড়া পচেত্তিনোই। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টটেনহামের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন পচেত্তিনো। তাঁর অধীনে টটেনহাম প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও খেলেছে।
টটেনহাম ছাড়ার পর লম্বা সময় বিরতি নিয়ে ২০১৯ সালে পিএসজির হয়ে কোচ হয়ে আসেন এই আর্জেন্টাইন কোচ। ২০২২ সালে ব্যর্থতার দায়ে পিএসজি ছাড়তে হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে কোনো ক্লাবের দায়িত্বে নেই এই কোচ। তবে আনচেলত্তি ব্রাজিলের দায়িত্ব নিলে রিয়ালের হয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করতে পারেন পচেত্তিনো।