যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকার আগে চীনে নির্ধারিত দুটি প্রীতি ম্যাচকে পাখির চোখ করেছিল আর্জেন্টিনা। ১৮ মার্চ নাইজেরিয়ার বিপক্ষে এবং ২৬ মার্চ আইভরিকোস্টের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খেলার কথা ছিল তাদের। কিন্তু হংকংয়ে ইন্টার মায়ামির হয়ে লিওনেল মেসির প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ম্যাচ দুটি বাতিল করে চীনের দুই শহর হাংজু এবং বেইজিংয়ের ফুটবল কর্তৃপক্ষ।
কোপা আমেরিকার আগে এ দুই প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়ে আর্জেন্টিনা। এরপর ম্যাচ আয়োজনের জন্য নতুন ভেন্যুর সন্ধান শুরু করে তারা। এমনকি আগের দুই প্রতিপক্ষকে পাওয়া না গেলে তাদের বিকল্প কারা হতে পারে, সেটা নিয়েও পরিকল্পনা করতে শুরু করে তারা। এবার নতুন খবর হচ্ছে, ম্যাচ বাতিলের ধাক্কা সামলে আর্জেন্টিনা এখন চারটি ম্যাচ খেলার কথা ভাবছে।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা টুর্নামেন্টের শুরুর কদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে কনকাকাফ অঞ্চলের দুটি দলের বিপক্ষে খেলার পরিকল্পনা করছে। চূড়ান্ত ঘোষণা না এলেও আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সম্ভাব্য সেই দল দুটি হলো হন্ডুরাস ও ইকুয়েডর। এ দুই দলের মধ্যে ইকুয়েডর কোপা আমেরিকায় অংশ নিলেও হন্ডুরাাস কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় খেলতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত কোপার আগে এ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি চূড়ান্ত করতে পারে, সেটা প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নের জন্য স্বস্তির ব্যাপার হবে।
অন্যদিকে চীনে বাতিল হওয়া ম্যাচ দুটি একই সময়ে অন্য কোথাও আয়োজনের পরিকল্পনা করছে আর্জেন্টিনা। সে ক্ষেত্রে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের দুই ফাইনালিস্ট নাইজেরিয়া এবং আইভরিকোস্টকে নিয়েই এ ম্যাচ দুটি খেলতে চায় তারা।
এর আগে গত শনিবার আর্জেন্টিনা–নাইজেরিয়ার ম্যাচ বাতিল করার ঘোষণা দেয় হাংজু স্পোর্টস ব্যুরো। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘একটি বাণিজ্যিক ইভেন্ট হিসেবে একটি কোম্পানি এবং আর্জেন্টিনা ফুটবল দল ঠিক করেছিল যে হাংজুতে মার্চে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। কিন্তু কারণগুলো সবারই জানা এবং তত্ত্বাবধানে থাকা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরাও জেনেছি, প্রীতি ম্যাচটি আয়োজনের মতো অবস্থা নেই। যে কারণে আমরা ম্যাচটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর কয়েক ঘণ্টা পর বেইজিংও একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, লিওনেল মেসি যে ম্যাচটিতে অংশ নেবেন, বেইজিং এ মুহূর্তে সেই ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে না।