লিওনেল মেসি
লিওনেল মেসি

যেখানে ম্যারাডোনার পাশে মেসি

হারলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত- এমন ম্যাচে গোল করেছেন, গোল করিয়েছেনও। বাঁচিয়ে রেখেছেন আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা। মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে দেওয়ার পথে ফুটবল পরিসংখ্যানের পাতায় নিজের নামটা আরও উজ্জ্বল করে তুলেছেন লিওনেল মেসি। তেমনই কিছু সংখ্যা-তথ্য জেনে নেওয়া যাক—

বিশ্বকাপের একই ম্যাচ গোল এবং গোলে সহায়তা- এমন কীর্তি আছে অনেকেরই। তবে সবচেয়ে কম বয়সে এবং সবচেয়ে বেশি বয়সে এই কীর্তির মালিক শুধুই মেসি।

২০০৬ বিশ্বকাপের সার্বিয়ার বিপক্ষে গোল ও গোলে সহায়তার দিন তার বয়স ছিল ১৮ বছর ৩৫৭ দিন। আজ মেক্সিকোর বিপক্ষে গোল ও গোলে সহায়তার ম্যাচের দিন বয়স ৩৫ বছর ১৫৫ দিন। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর থেকে এমন রেকর্ড আর কারও নেই।

পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে আসা মেসির গোল এখন ৮টি। কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার গোলসংখ্যাও ৮টিই। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার- ১০টি।

২১

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এত দিন ডিয়েগো ম্যারাডোনার একার ছিল। ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই ম্যাচগুলো খেলেছিলেন। মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসিও খেললেন ২১তম ম্যাচ। ৩০ নভেম্বর পোল্যান্ডের ম্যাচে মাঠে নামলে হয়ে যাবেন আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার।

আর্জেন্টিনার হয়ে টানা ৬ ম্যাচে গোল করলেন মেসি। এর আগে ২০১১-১২ মৌসুমেও টানা ছয় ম্যাচে গোল করেছিলেন।

১০

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার করা সর্বশেষ ১৫ গোলের ১০টির সঙ্গেই জড়িয়ে মেসির নাম (৭টি গোল, ৩টিতে সহায়তা)। এর মধ্যে শেষ ৪টিতেই আছে তাঁর অবদান (৩টি গোল ও ১ সহায়তা)।

বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫টি ভিন্ন আসরে গোলে সহায়তার কীর্তি গড়েছেন মেসি

মেক্সিকো বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মেসি। বিশ্বকাপে এটি তাঁর সপ্তম। ফিফা বিশ্বকাপে ৭টি ম্যাচসেরার স্বীকৃতি আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও। ২০০২ আসরে পুরস্কারটি চালু হওয়ার পর থেকে এ দুজনই যৌথভাবে শীর্ষে।

৩০

মেক্সিকোর বিপক্ষে গোলটি ২০২২ সালে মেসির ৩০তম গোল। এ নিয়ে ১৪ পঞ্জিকা বর্ষে ৩০ বা এর বেশি গোল করলেন আর্জেন্টাইন তারকা।

১৩

২০২২ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির গোলসংখ্যা ১৩। ২০০৪ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর আর কোনো বছর এত গোল করতে পারেননি।