কোপা আমেরিকায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের ম্যাচে লিওনেল মেসির খেলা নিয়েই ছিল শঙ্কা। ধারণা করা হচ্ছিল, চোট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে ফিরলেও পুরো ৯০ মিনিট হয়তো খেলা হবে না তাঁর।
কিন্তু সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পুরো সময় মাঠে ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স হয়তো দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। টাইব্রেকারের পেনাল্টি মিসের প্রসঙ্গ বাদ দিলেও ম্যাচজুড়ে মেসিকে স্বরূপে দেখা গেছে সামান্যই।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ইকুয়েডর শুরু থেকেই ইতিবাচক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে। বলের দখল খুব বেশি না থাকলেও আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে এগিয়েই ছিল ইকুয়েডর। পাশাপাশি লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লাইনকে দারুণভাবে আটকে রাখতে সক্ষম হয় দলটি।
মেসি যখনই বলের দখল নিয়েছেন বা দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তখনই ইকুয়েডরের একাধিক ডিফেন্ডার এগিয়ে এসে মেসির জন্য জায়গা সংকুচিত করে দিয়েছেন। বিশেষ করে অ্যাটাকিং থার্ডে মেসিকে কোনো জায়গাই দেননি তাঁরা। এই ম্যাচে প্রথম আধঘণ্টায় সব মিলিয়ে মেসি বল স্পর্শ করেছেন মাত্র ১১ বার।
পরবর্তী সময়ে অবশ্য ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন মেসি। অল্প জায়গার মধ্যে কয়েকবার বল পেয়ে চেষ্টা করেছেন আক্রমণ তৈরির। ৩৪ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজকে দারুণ একটি সুযোগও তৈরি করে দেন মেসি। চেলসি মিডফিল্ডার অবশ্য সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। পরে মেসির কর্নার থেকেই লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।
এটুকু বাদ দিলে বেশির ভাগ সময় নিষ্প্রভই ছিলেন মেসি। এই ম্যাচে মেসির ম্লান পারফরম্যান্স ফুটে উঠবে আরেকটি পরিসংখ্যানে। পুরো ম্যাচে একটি শট নেওয়া মেসি সব মিলিয়ে বলের স্পর্শ পেয়েছেন ৩২ বার; যা কিনা ২০১১ সালের পর আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি যেসব প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলেছেন, তার মধ্যে সর্বনিম্ন।
ব্যক্তিগতভাবে দিনটা খারাপ গেলেও মেসির মুখে শেষ পর্যন্ত হাসি ফুটিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। টাইব্রেকারে মেসির পেনাল্টি মিসের পর মার্তিনেজের জাদুকরি দুটি সেভ আর্জেন্টিনাকে তুলে দিয়েছে সেমিফাইনালে। এখন শেষ চারে মেসিকে সেরা ছন্দে দেখার অপেক্ষায় আর্জেন্টিনার ভক্ত–সমর্থকেরা।