রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে খুব বেশি দর্শক ছিল না। গ্যালারির বেশির ভাগ অংশই ছিল ফাঁকা। তবে রোববার রাতে এই মাঠেই ভরে উঠতে পারে গ্যালারি। স্পেনের ‘এল ক্লাসিকো’যে এবার সৌদি আরবের রাজধানীতে!
কাল রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল বেতিসকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। আগের রাতে টাইব্রেকারে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই ম্যাচের ফল যেমন টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়েছে, তেমনি নায়কও গোলকিপাররা। আগের রাতে থিবো কোর্তোয়া আর কাল মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান।
বেতিসের বিপক্ষে আগের ১৭ ম্যাচের ১৪টিতেই জিতেছিল বার্সেলোনা। সে দাপট বজায় ছিল ম্যাচের শুরু থেকেই। ৪০ মিনিটে রবার্ট লেভানডভস্কির পা থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটি পেয়ে যায় বার্সা। উসমান দেম্বেলের বাড়ানো বল গোলমুখের সামনে থেকে জালে জড়ান পোলিশ স্ট্রাইকার।
এর আগে ২৩ মিনিটে পেদ্রির গোল অফ সাইডে বাতিল হয়। টের স্টেগানকেও অবশ্য পরীক্ষা দিতে হয়েছে। প্রতিহত করতে হয়েছে লুইস হেনরিক ও রদ্রির দুটি বুলেট গতির শট। প্রথমার্ধে নেওয়া লিড দ্বিতীয়ার্ধেও অনেকটা সময় ধরে রেখেছিল বার্সা।
তবে ৭৭ মিনিটে নাবিল ফেকিরের নিচু শট আটকানোর জায়গায় ছিলেন না বার্সা গোলরক্ষক। অপেক্ষাকৃত ফাঁকায় থাকা ফেকিরের শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে ঢোকে।
ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে দ্বিতীয় মিনিটেই বার্সাকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন আনসু ফাতি। ৯ মিনিট পর গোলটি শোধ দিয়ে দেন বেতিসের লরেঞ্জো মোরন।
ম্যাচের শেষ দিকে আন্দ্রেস গুয়ারদাদোর লাল কার্ডে দশজনে পরিণত হয় বেতিস। তবে মাত্র দুই মিনিট বাকি থাকায় সুবিধা আদায় করতে পারেনি বার্সা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
প্রথম দুই শটে উভয় দলই বল জালে জড়ায়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শটে গড়বড় করে ফেলে বেতিস।
জুয়ানমি ও উইলিয়ামস কারবালহোর দুর্বল শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করে দেন টের স্টেগান। বার্সেলোনার পক্ষে পেদ্রির চতুর্থ শট জালে গেলে জয় নিশ্চিত হয়ে বার্সার।
রোববার একই মাঠে বার্সেলোনা–রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ। সর্বশেষ আসরে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল রিয়াল।