গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

রোনালদো বললেন, ব্যালন ডি'অর ও ফিফা দ্য বেস্ট ‘বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে’

ব্যালন ডি’অর ও ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারে আগের মতো আস্থা নেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ছয় বছর আগে সর্বশেষ ব্যালন ডি’অর ও দ্য বেস্ট জেতা এই পর্তুগিজ তারকার দাবি, পুরস্কার দুটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে।

৩৮ বছর বয়সী রোনালদো মনে করেন, গোল সংখ্যার ভিত্তিতে পুরস্কার দেওয়া উচিত। পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম ‘রেকর্ড’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আল নাসর তারকা।

রোনালদো ‘রেকর্ড’–এর সঙ্গে কথা বলেন দুবাইয়ে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার গ্রহণের কিছুক্ষণ পর। ২০১০ সালে শুরু হওয়া পুরস্কারটিতে ছয়বার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন রোনালদো। ২০২৩ সালে অবশ্য বর্ষসেরা হয়েছেন আর্লিং হলান্ড। রোনালদো পেয়েছেন ফ্যানস ফেবারিট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, বেস্ট মিডল ইস্ট প্লেয়ার এবং বেস্ট গোল স্কোরার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার।

গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩–এ তিনটি পুরস্কার পান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

২০২৩ সালে আল নাসরের হয়ে ৫৯ ম্যাচে ৫৪ গোল করেছেন রোনালদো। গত বছর এত গোল করতে পারেননি অন্য কেউ। তবে এত গোল করলেও ২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অর বা ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাননি রোনালদো। সক্রিয় ফুটবলারদের মধ্য সবচেয়ে বেশি গোলের এই মালিক মনে করেন, পুরস্কারের জন্য পুরো মৌসুমের `সংখ্যা' সবার আগে বিবেচনায় নেওয়া উচিত, `ব্যালন ডি’অর আর দ্য বেস্ট বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে। সংখ্যা কিন্তু বাস্তবতা। আমাদের পুরো মৌসুমকে বিবেচনায় নিতে হবে। আমি বলছি না যে মেসি বা হলান্ড কিংবা এমবাপ্পে পুরস্কারটির যোগ্য ছিল না। আমি বলতে চাচ্ছি, এই পুরস্কারগুলোতে আমার আর আস্থা নেই।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর পর্তুগালে কী হয়েছিল আমার মনে আছে, মানুষ তো ধরেই নিয়েছিল আমি ফুরিয়ে গেছি।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

২০২৩ সালের ফিফা দ্য বেস্ট জিতেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। যদিও একই সময়ে ব্যক্তিগত ও দলগত দিক থেকে বেশি সফল ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার হলান্ড। সমান পয়েন্ট পেলেও ফিফা সদস্যদেশগুলোর অধিনায়কদের ভোটে এগিয়ে থাকায় মেসি দ্য বেস্ট জেতার পর এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

রোনালদো সেই বিতর্কে ঢুকতে না চাইলেও গোলসংখ্যাকে মূল্যায়নের পক্ষে জোরালো মত তুলে ধরেছেন, ‘আমি গ্লোব সকার জিতেছি বলে বলছি না, কিন্তু এটাই সত্যি যে সংখ্যা আছে আর তা ভুল বোঝায় না। বাস্তবতা হলো আমি যে ট্রফিগুলো জিতেছি, এটা তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। সংখ্যা অর্থবহ বলে আমি আরও বেশি খুশি।’

২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের মাঝপথে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন রোনালদো, বিশ্বকাপও ভালো যায়নি তাঁর। এই মুহূর্তে সৌদির লিগে করিম বেনজেমা, নেইমার, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনোসহ অনেক নামী খেলোয়াড় থাকলেও রোনালদো আল নাসরে নাম লেখানোর সময় লিগটি ইউরোপে আলোচনায়ই ছিল না। এখন সৌদি লিগে অনেকে খেলছেন, সবাই খোঁজখবরও রাখছে, যেখানে রোনালদো নিজেও দারুণ ছন্দে আছেন—সব মিলিয়ে ভীষণ খুশি সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস তারকা, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর পর্তুগালে কী হয়েছিল আমার মনে আছে, মানুষ তো ধরেই নিয়েছিল আমি ফুরিয়ে গেছি। কিন্তু সত্য হচ্ছে মনোযোগ ধরে রেখে আল নাসরে দারুণ একটা বছর কাটিয়েছি। আর এ কারণেই ৫৪টা গোল পেয়েছি।’