১৪ ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পেল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। বুয়েনস এইরেসে ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে তারা। উরুগুয়ের হয়ে দুটি গোল আসে রোনালদ আরাউহো ও দারউইন নুনিয়েজের কাছ থেকে।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারের পর এটিই আর্জেন্টিনার প্রথম হার। এ হারের পরও অবশ্য ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেই আছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে উরুগুয়ে উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা ২৫ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখেছে আর্জেন্টিনা। এদিন ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও দলের জন্য গোল এনে দিতে পারেননি মেসি। গত বছরের নভেম্বরের পর এই প্রথম আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসিকে কড়া পাহারায় রাখার কৌশল নিয়েছিলেন উরুগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। এতে তিনি সফলও হয়েছেন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দল তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। উল্টো ধাক্কাধাক্কিতে মেতে ছিল দুই দল। ১৯ মিনিটে একটি ফাউলের ঘটনায় মেজাজ হারায় দুই দলের খেলোয়াড়েরা। জড়িয়ে পড়েন ধাক্কাধাক্কিতে।
উরুগুয়ের প্রথম গোলটি ৪১ মিনিটে। বাঁ দিকে মলিনার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ক্রস বাড়ান মাতিয়াস ভিনা। এরপর আরাউহোর কোনাকুনি শটে পরাস্ত হন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। কাতার বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার হজম করা প্রথম গোল এটি। ৮৭ মিনিটে উরুগুয়েকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন নুনিয়েজ।
কেন এমন হার, সেই কারণ খুঁজে পেয়েছেন মেসি। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের জন্য খেলাটা কঠিন ছিল। তারা আক্রমণাত্মক ছিল। মাঠে শারীরিক শক্তিনির্ভর ও দ্রুতগতির ফুটবল খেলেছে। তাই আমাদের জন্য সেরাটা খেলা কঠিন ছিল। আমরা মাঠে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলাম না। বল বেশিক্ষণ পায়ে রাখার উপায় বের করতে পারিনি। তারা শারীরিক শক্তিনির্ভর দল, সেটাই তাদের কাজে দিয়েছে।’