১–০, ১–০, ১–০। জয় বা হার যা–ই হোক, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সর্বশেষ ৩ ম্যাচে ন্যূনতম ব্যবধানকে যেন অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিল!
গত মাসে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ১–০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইউনাইটেড। এ মাসে ব্রাইটন ও ওয়েস্ট হামের কাছে পরের দুই ম্যাচ হার একই ব্যবধানে। আজও সেই একই ব্যবধানে উলভারহ্যাম্পটনকে হারাতে যাচ্ছিল রেড ডেভিলরা।
তবে আলেহান্দ্রো গারনাচো এসে চক্রটা বদলে দিলেন। শেষ মুহূর্তে করা এই আর্জেন্টাইন বিস্ময়–বালকের গোলে উলভসকে ২–০ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড।
প্রথমার্ধে অ্যান্থনি মার্শিয়াল এগিয়ে দেন ইউনাইটেডকে। এরপর বদলি হিসেবে যোগ করা সময়ে গোল করেন গারনাচো। অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়ে মার্চ থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন গারনাচো। মিস করেছেন ১৩ ম্যাচ। দুই মাস পর আজ ফিরেই ইউনাইটেডকে আনন্দে ভাসালেন আর্জেন্টাইন তরুণ।
এ জয়ে পয়েন্টের নিরিখে নিউক্যাসলকে ছুঁয়ে ফেলল ইউনাইটেড। দুই দলেরই পয়েন্ট এখন ৬৬। তবে এরিক টেন হাগের দল গোল–পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় অবস্থানে নড়চড় হয়নি। নিউক্যাসল রয়ে গেছে তৃতীয় স্থানে, ইউনাইটেড চারে। আর হুলেন লোপেতেগির উলভস নেমে গেছে ১৩ নম্বরে।
এক মৌসুম পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরার পথে ঠিকই এগিয়ে গেছে ইউনাইটেড। পাঁচে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে তারা। দুই দলেরই বাকি আছে তিনটি করে ম্যাচ। ব্রুনো ফার্নান্দেজ–কাসেমিরোরা চাইলে লিডসকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন। অবনমন অঞ্চলে থাকা লিডস আগের ম্যাচে ২–২ গোলে নিউক্যাসলকে রুখে দেওয়াতেই ইউনাইটেডের কাজ সহজ হয়েছে।
আজ লিগের আরেক ম্যাচে নটিংহাম ফরেস্টের সঙ্গে ২–২ গোলে ড্র করেছে চেলসি। এই ড্রয়ের পর ৩৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে আছে চেলসি। আর নটিংহাম ৩৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে আছে।