কাতার বিশ্বকাপে ফাইনালসহ আর্জেন্টিনা খেলেছে সাতটি ম্যাচ। এর মধ্যে মাত্র ২৩৮ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছেন লাওতারো মার্তিনেজ। কিন্তু এই সময়ে মাঠে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার। গোলের বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগও নষ্ট করেছেন ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানে খেলা এই তারকা।
কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনা যে কজন ফরোয়ার্ড নিয়ে খেলতে গিয়েছিল, এর মধ্যে একমাত্র মার্তিনেজই পুরোদস্তুর স্ট্রাইকার। তাহলে তিনি কেন প্রতিপক্ষের গোলের সামনে এমন ব্যর্থ হলেন, এমন প্রশ্ন বিশ্বজোড়া ফুটবলপ্রেমীরাই তুলেছেন।
বিশ্বকাপের প্রায় দুই মাস পর নিজের সেই ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিলেন মার্তিনেজ। তাঁর সেই ব্যাখ্যায় উঠে এসেছে বিশ্বকাপের আগে পাওয়া চোটের বিষয়টি। বিশ্বকাপের আগে পাওয়া চোট নিয়েই কাতার গিয়েছিলেন মার্তিনেজ। বিশ্বকাপ শুরুর আগে আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডের অবস্থা এমনও হয়েছিল যে বলে লাথি দিতেও সমস্যা হচ্ছিল।
সেই সময়ের কথা মনে করে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘আমি যখন বিশ্বকাপে যাই, এমনকি আমি বলে লাথিও মারতে পারছিলাম না। অ্যাঙ্কেলে অসম্ভব ব্যথা ছিল। আমি এটা দেখে খুশি হয়েছি। হুলিয়ান (আলভারেজ) খুব ভালো খেলেছে। সেই সময়ে আমি যেটা করতে পারছিলাম না, দলকে সে সেটা দিতে পেরেছে।’
বিশ্বকাপ চলাকালে এমন বাজে অবস্থায় অধিনায়ক মেসি মার্তিনেজের পাশেই ছিলেন। তিনি এ নিয়ে ইএসপিএনকে বলেছেন, ‘একটা সময় লিও মেসি আমার কাছে এলেন এবং তিনি আমাকে সেরে ওঠার দিকে মনোযোগ দিতে বলেছিলেন।’
এমন চোট থাকার পরও তাঁকে কেন বিশ্বকাপের দলে নেওয়া হয়েছিল, নাকি তিনি নিজে থেকেই চোট লুকিয়েছিলেন? আর বিশ্বকাপ দলে নেওয়ার পর তাঁর অবস্থা দেখে তাঁকে বাদ না দিয়ে কেন বয়ে বাড়িয়েছে আর্জেন্টিনা? এ বিষয়ে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘(লিও মেসি) আমাকে সেরে ওঠায় এ কারণেই মনোযোগ দিতে বলেছিলেন যে আমি হয়তো শেষ দিকের ম্যাচগুলোয় দলের জন্য কার্যকর হতে পারব।’
মার্তিনেজের এরপর যোগ করেন, ‘(বিশ্বকাপের আগে) আমি ইন্টারে খেলার সময়েই অ্যাঙ্কেলে ব্যথা অনুভব করছিলাম। আমি বিষয়টি কোচকে পরিষ্কার করেই বলেছিলাম। এ কারণেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোয় খেলার জন্য আমাকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছিল। আমি সৌদি আরবের বিপক্ষে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলেছিলাম। কিন্তু আমি তখনো নিয়মিত অনুশীলন করতে পারিনি।’