গ্রুপ পর্বে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকার শিরোপাধারী আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে শেষ আটের টিকিট পেয়েছিল মরক্কো। এবারের অলিম্পিকে মরক্কো যে অন্যতম ফেবারিট, কোয়ার্টারের লড়াইয়েও সে প্রমাণ দিল তারা। যুক্তরাষ্ট্রকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে দিয়েছে দলটি।
আফ্রিকার ‘অ্যাটলাস লায়ন’ হিসেবে খ্যাত দলটির হয়ে গোলগুলো করেছেন সোফিয়ান রাহিমি, ইলিয়াস আখোমাখ, আশরাফ হাকিমি ও মেহেদী মাওহোব। এ জয়ে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের সেমিফাইনালের টিকিটও পেল তারা।
প্যারিসে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলে মরক্কো। দলটির সমন্বয় ও নিজেদের মধ্যকার বোঝাপড়াও ছিল দারুণ। মরক্কোর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের খেলা ছিল ছন্নছাড়া। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার মতো তেমন কিছুই করতে পারেনি তারা। উল্টো ম্যাচের ২৮ মিনিটেই খেয়ে বসে প্রথম গোল। বক্সের ভেতর ফাউল করে মরক্কোকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসেন নাথান হারিয়েল। স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন রাহিমি। এই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মরক্কো।
বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে আরও কোণঠাসা করে দিয়ে আক্রমণে যায় মরক্কো। ম্যাচের ৫১ মিনিটে তারা আদায় করে নেয় নিজেদের দ্বিতীয় গোলটি। অতিরিক্ত প্রেসিং করতে গিয়ে ডিফেন্স লাইন একরকম ফাঁকা করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবদে ইজালযুলির পাস থেকে গোল মরক্কোকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন আমোমাখ।
৭০ মিনিটে হাকিমির গোলের মধ্য দিয়ে ম্যাচটাকে নিজেদের করে ফেলে মরক্কো। প্রতিপক্ষের রক্ষণ-দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণে যাাওয়া হাকিমির শটটা অবশ্য বাঁচানোর মতোই ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক প্যাটট্রিক শুলটের যদিও কাজটি ঠিকঠাক করতে পারেননি। এরপর ৯০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের হারের কষ্টটা বাড়ান মাওহোব। যিনি পেনাল্টি থেকে করেন মরক্কোর চতুর্থ গোল। এই গোলেই বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো।