এ যেন গোলের মেলা! চাইলেই গোল পাওয়া যায়। অন্তত ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডের কথা শুনলে তো তা–ই মনে হয়। অবশ্য তিনি না বললে কে বলবেন!
লাইপজিগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে একাই ৫ গোল করলেন, করতে চাইলেন আরও। একের পর এক গোল করলেও কেন তাকে পুরো সময় খেলানো হলো না, এমন প্রশ্নে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা যে জবাব দিয়েছেন, সেটাও কী কম মজার!
গতকাল লাইপজিগের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করেন হলান্ড। ৫ গোল করেন ৫৭ মিনিটের মধ্যে। তবে বেরসিক গার্দিওলা হলান্ডকে ম্যাচের ৬৩ মিনিটেই তুলে নেন। গোল করার যে মানসিকতায় হলান্ড গতকাল ছিলেন, তাতে ম্যাচের বাকি সময় খেললে কোথায় গিয়ে থামতেন কে জানে! এই আফসোস আছে হলান্ডের নিজেরও, ‘আমি কোচকে বলেছিলাম, আমি ডাবল হ্যাটট্রিক করতে চাই, কিন্তু আমি আর কী করতে পারি?’
জবাবটা অবশ্য গার্দিওলা যেভাবে দিয়েছেন, তাতে সম্ভবত হলান্ডের খুশি হওয়ারই কথা। কারণ, হলান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভালোই চিন্তা আছে গার্দিওলার। ম্যাচ শেষে মজার ছলে সিটি কোচ বলেছেন, ‘২২ বছর বয়সেই যদি এই রেকর্ড গড়ে, তাহলে ওর জীবন বিরক্তিকর হয়ে যাবে। ভবিষ্যতের জন্যও তো কিছু লক্ষ্য রাখতে হবে।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে হলান্ড তাঁর সবচেয়ে বড় স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন। নওরেজিয়ান এই স্ট্রাইকার বলেছিলেন, এক ম্যাচে বল পাঁচবার স্পর্শ করেই ৫টি গোল করতে চান। ৫ গোল হলান্ড ঠিকই করেছেন, তবে পাঁচটি স্পর্শে নয়, ৩০ থেকে ৩৫ বার বলে স্পর্শ করে। হলান্ড মাঠে এতবার বল স্পর্শ করুক, সেটাই চান গার্দিওলা।
এর পাশাপাশি সুযোগ পেয়ে হলান্ডসহ নিজের বাকি শিষ্যদের ভালোবাসার ছলে দোষের কথা বলতে ভোলেননি গার্দিওলা, ‘আজ (গতকাল) হলান্ড ৫ গোল করল, সম্ভবত ৩০-৩৫ বার বল স্পর্শ করে। এমনটাই আমরা এত দিন চাইছিলাম। কিন্তু ৪০-৫০ মিনিট বল স্পর্শ না করলে গোল করাটা কঠিন হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে মুভ না করে এই ভুলটা হলান্ড করে, অন্য সময়ে আমরা তাকে খুঁজে পাই না। এই ভুলটা আমাদের। ’