বড় ম্যাচে চমকে দেওয়াটাকে যেন রীতিই বানিয়ে ফেলেছেন পেপ গার্দিওলা। ব্যতিক্রম হয়নি গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও। মাঠে বড় কোনো ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন না আনলেও, এবার গার্দিওলা চমক দেখিয়েছেন কোনো বদলি খেলোয়াড় না নামিয়ে। এর আগেও বদলি না নামিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন গার্দিওলা।
তবে রিয়ালের বিপক্ষে তাঁর খেলোয়াড় না বদলানোর সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না অনেক সমর্থক। শুধু সমর্থকেরাই নন, গার্দিওলার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তাঁর এক সময়ের শিষ্য সের্হিও আগুয়েরোও। সাবেক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড তাঁর স্বদেশি হুলিয়ান আলভারেজকে না নামানোর বিষয়টি মানতে পারছেন না।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গতকাল রাতে ভিনিসিয়ুসের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। পরে চোখধাঁধানো গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান কেভিন ডি ব্রুইনা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। ম্যাচে রিয়াল ডিফেন্ডাররা কোনো সুযোগই দেননি ছন্দে থাকা সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে।
রুডিগার-আলাবারা ৯০ মিনিটজুড়ে একরকম চুপই করিয়ে রেখেছিলেন নরওয়েজীয় তারকাকে। দুয়েকবার হলান্ড গোলের প্রচেষ্টা নিলেও সেগুলো দেখেনি আলোর মুখ। সিটি স্ট্রাইকারের ভুলে যাওয়ার মতো এই রাতে তাঁর বদলি হিসেবে অন্য কাউকে নামিয়ে চেষ্টাও করেননি গার্দিওলা। বিশেষ করে ছন্দে থাকা আলভারেজকে তাঁর জায়গায় খেলানোর কথা বলছেন অনেকে। আগুয়েরোও আলভারেজকে মাঠে না নামানোর সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না।
আলবিসেলেস্তে টক পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘যা আমি বুঝতে পারছি না তা হলো, কেন হুলিয়ানকে নামানো হয়নি। আমি বিস্মিত। আমি হলে হুলিয়ানকে প্রায় সব ম্যাচেই খেলাতাম। কারণ, তাকে আমাদের সক্রিয়ভাবে দরকার।’
চলতি মৌসুমে প্রায় নিয়মিত বদলি হিসেবে খেলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৫ গোল করেছেন আলভারেজ। বেশির ভাগ সময় তাঁকে হলান্ডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেছেন গার্দিওলা। গত রাতে অবশ্য সেটিও করেননি।
খেলোয়াড় না বদলানোয় গার্দিওলার ওপর খেপেছেন ম্যান সিটি সমর্থকেরাও। এক সিটি সমর্থক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘গার্দিওলা একজন খেলোয়াড়ও বদলাননি, সে কি তাঁর বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বিশ্বাস করেন না।’
এক আর্সেনাল সমর্থক অবশ্য এভারটন ম্যাচের আগে সিটির খেলোয়াড়দের এভাবে ক্লান্ত হতে দেখে উচ্ছ্বাসই প্রকাশ করেছেন। কারণ, এভারটন যদি এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, তবে তা আর্সেনালকে লিগ শিরোপা জিততে সুবিধা করে দেবে।