খিচা কাভারস্কেইয়ার উচ্ছ্বাস, জুভেন্টাসের হতাশা
খিচা কাভারস্কেইয়ার উচ্ছ্বাস, জুভেন্টাসের হতাশা

৩০ বছরে এত বাজে হার দেখেনি জুভেন্টাস

মৌসুমটা যাচ্ছেতাই শুরু করেছিল জুভেন্টাস। একের পর এক হারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তুলে নেয় টানা ৮ জয়, পয়েন্ট টেবিলের দুইয়েও চলে আসে জুভেন্টাস।

তবে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি ১৯৯০ সালের পর সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখা নাপোলির বিপক্ষে। ৩৩ বছর আগে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে শেষবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাপোলি।

ডিয়েগো আরামান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে কাল রাতে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে ‘জুভ’রা। ইতালিয়ান শীর্ষ লিগে গত ৩০ বছরে এত বাজে হার দেখেনি জুভেন্টাস। সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে সিরি ‘আ’র কোনো ম্যাচে ৫ গোল হজম করেছিল ‘তুরিনের বুড়ি’রা।

এই হারে ১৮ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে নেমে গেল ক্লাবটি। সমান ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল নাপোলি। এক ম্যাচ কম খেলে জুভেন্টাসের সমান ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে এসি মিলান।

গোলের পর নাপোলি তারকা এলমাসের উচ্ছ্বাস, দি মারিয়ার হতাশা

দারুণ ছন্দে থাকা নাপোলির জর্জিয়ান তারকা খিচা কাভারস্কেইয়া এই ম্যাচেও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৪ মিনিটে কাভারস্কেইয়ার দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিক ফিরিয়ে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক।

তবে ফিরতি প্রচেষ্টায় লক্ষ্য ভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন ভিক্তর ওশিমেন। ৩৯ মিনিটে কাভারস্কেইয়া নিজেই লক্ষ্য ভেদ করে নেপলসের ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন ২-০ গোলে।

তিন মিনিট পর জুভেন্টাসের হয়ে ব্যবধান কমান বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল দি মারিয়া। বিরতির পর ৫৫ মিনিটে রাহমানির গোলে সহায়তা করেন কাভারস্কেইয়া। ৬৫ মিনিটে আবারও এই জর্জিয়ান তারকার সহায়তায় গোল করেন ওশিমেন। ৭২ মিনিটে জুভেন্টাসের জালে শেষবারের মতো বল জড়ান এলমাস।

ম্যাচের পর এমন হার জুভেন্টাসের প্রাপ্য ছিল বলে মন্তব্য করেছেন কোচ ম্যাসিসমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। তিনি বলেছেন, ‘এমন কিছু হার থাকে, যা আপনার প্রাপ্য নয়। আবার এমন কিছু হার থাকে, যা আপনার প্রাপ্য। এই হারটা আমাদের প্রাপ্য ছিল।’