পেনাল্টি মিস করেন কেইন
পেনাল্টি মিস করেন কেইন

পেনাল্টি মিসের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন কেইন

নায়ক ও খলনায়ক!

একই রাতে ইংলিশদের কাছে দুটি চরিত্রে ‘আবির্ভূত’ হলেন হ্যারি কেইন। শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি গোলে দলকে ১-১ সমতায় ফেরান ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

ছুঁয়ে ফেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়েইন রুনির করা সর্বোচ্চ ৫৩ গোল। কে জানত, এই কেইনই ৮৫ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি কাজে লাগাতে না পেরে দলকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হবেন। কেইনের সে এক ভুলেই ভেঙে যাবে ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ সালের পর আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। ইংল্যান্ডকে ধরতে হবে বাড়ি ফেরার বিমান।

ম্যাচ–পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কেইন বলেছিলেন, ইংল্যান্ড কাতারে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে আসেনি। তাদের চোখ শিরোপায়। অথচ ইংল্যান্ড অধিনায়কের ভুলেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেইনের দিকে ধেয়ে আসছে সমালোচনা। সে সমালোচনা রুখতে অবশ্য কোচ ও সতীরর্থদের পাশে পাচ্ছেন কেইন।

প্রথম পেনাল্টিতে গোল করে কেইন দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন

ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসন বিশ্বাস করেন ব্যর্থতা কাটিয়ে কেইন আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন। তিনি বলেন, ‘কেইন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। আমরা জানি কতগুলো পেনাল্টিতে সে আমাদের হয়ে গোল করেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষেই তো প্রথম পেনাল্টিতে গোল করল। ইংল্যান্ডকে এত দূর নিয়ে আসতেও তো অনেকগুলো গোল করেছে। আমি নিশ্চিত এই ব্যর্থতা কাটিয়ে সে ঘুরে দাঁড়াবে।’

ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট তো বলেই দিয়েছেন কেইনের গোল ছাড়া এত দূর আসা সম্ভব হতো না ইংল্যান্ডের। তাঁর কথা, ‘কেইন আমাদের হয়ে অতীতে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছে। গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভরসা রাখা যায়, এমন পারফর্ম করেছে। কেইনের গোল ছাড়া তো এত দূর আসতেই পারতাম না। আর আমরা দল হিসেবেই হারি, দল হিসেবেই জিতি।’