ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছি

গ্রুপ পর্বে রোমাঞ্চকর সব ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ এখন নতুন শিহরণ নিয়ে হাজির। বলছি নকআউটের কথা। শেষ ষোলোর প্রথম দিনে প্রত্যাশিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস আর অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা শেষ আটে উঠে গেছে।

একইভাবে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও হ্যারি কেইনদেরও শেষ আটে দেখব ধরে নিয়েছি। পোল্যান্ডের বিপক্ষে আজ ফ্রান্সের জিততে খুব একটা অসুবিধা হবে না আমার বিশ্বাস। হ্যাঁ, অনেকে এবার গণহারে বড় দলের ধরাশায়ী হওয়ার কথা বলতে পারেন। সর্বশেষ গত পরশু ক্যামেরুনের কাছে ব্রাজিলের হার দেখে অনেকে সতর্ক থাকবেন।

তা থাকতেই পারেন। কিন্তু দেখতে হবে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিলের কোন দলটা খেলেছে? ব্রাজিল কোচ তাঁর দ্বিতীয় দলটা নামিয়ে দেন এদিন। কারণ, প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করার পর তৃতীয় ম্যাচের সে অর্থে আর গুরুত্ব ছিল না সেলসাওদের কাছে। আসলে একটা দল যখন পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলে, তখন বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সুযোগ দেন কোচ। তিতেও দিয়েছেন। তাতে সমস্যা কিছু নেই।

একইভাবে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমও প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে তৃতীয়টিতে দ্বিতীয় সেরা একাদশ নামিয়ে দেন। তিউনিসিয়ার কাছে তিনিও হেরেছেন তৃতীয় ম্যাচ। তাতে এমন কোনো ক্ষতি কিছু হয়নি ফ্রান্সের। আজ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে দেখবেন দেশমের ছেলেরা ঠিকঠাক খেলে দেবে। নকআউটে এসে ভিন্ন ছবি দেখা যায় ফেবারিটদের মধ্যে। ফ্রান্সের বেশির ভাগ ফুটবলার বিশ্ব ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত। বড় বড় ক্লাবকে টেনে নিয়ে যায়। চাপ সামলানোর ক্ষমতা ওদের অনেক বেশি। একটার পর একটা ম্যাচ খেলে। এ জন্যই আমি মনে করি ফ্রান্স পেরিয়ে যাবে পোলিশ-বাধা।

হ্যাঁ, অঘটন তো হতেই পারে। তবে আমার মনে হয় পোল্যান্ডের সেই সামর্থ্য একেবারেই কম। শক্তিতে তারা বিস্তর পেছনে। তা ছাড়া গ্রুপে পোল্যান্ডের খেলা দেখে মনে হয়নি ওরা কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে। তারপরও পোল্যান্ড কোয়ার্টারে চলে গেলে আমি মনে করব সেটা ফ্রান্সের দুর্ভাগ্য। ফুটবলে আসলে অপ্রত্যাশিত অনেক কিছু হয়। সেটা মাথায় রেখেও বলব, ফ্রান্সের দ্বিতীয় রাউন্ডে অঘটনের শিকার হওয়ার শঙ্কা করছি না আমি।

কাতার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আমি শীর্ষ ফেবারিট বলে আসছি এমবাপ্পেদের। তারপর ব্রাজিল। তৃতীয় ইংল্যান্ড এবং চতুর্থ আর্জেন্টিনা। চার দলই উঠে এসেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। তবে ফ্রান্সকে নিয়ে যতটা জোর দিয়ে বলছি, ইংল্যান্ডকে নিয়ে ততটা বলব না। কারণ, সেনেগাল খারাপ দল নয়। যার প্রমাণ গ্রুপে দুটি ম্যাচ জেতা। ওরা শারীরিকভাবে বেশ শক্তিশালী। শারীরিক সুবিধার পাশাপাশি এবার সেনেগালের খেলায় বুদ্ধির ছাপও দেখছি। দুইয়ের সমন্বয়ে ওরা ইংল্যান্ডকে আটকে দিতে চাইবেই। সহজে ছাড়বে না সেনেগাল। তারা টক্কর দিলে ম্যাচটা উপভোগ্য হবে। তবে মানতেই হয়, রহিম স্টার্লিংদের সামনে সেনেগাল সে অর্থে বড় বাধা নয়। ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত জিতে যাবে বলেই আমার ধারণা।