রিয়াল মাদ্রিদের চোটজর্জর হওয়ার খবরটা পুরোনো। চোটের ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে দলটির রক্ষণভাগে। একের পর এক চোট রিয়ালের রক্ষণভাগকে একরকম অকার্যকর করে ফেলেছে।
কদিন আগে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিও স্বীকার করেছেন রক্ষণে সমস্যার কথা। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘যখন আপনার রক্ষণ দৃঢ় থাকবে না, যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে।’ সেই জটিলতার মধ্য দিয়েই এখন যাচ্ছে ক্লাবটি।
এমনিতেই তারকাবহুল আক্রমণভাগের বিপরীতে রিয়ালের রক্ষণ অনেকটাই সাদামাটা। এর মধ্যে মৌসুমের শুরুতে রিয়ালের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে দলের অন্যতম সেরা তারকা দানি কারভাহালের চোট।
এরপর শনিবারের রাতের ম্যাচ দিয়ে মৌসুম শেষ গেছে এদের মিলিতাও ও লুকাস ভাসকেজের। এমনকি পরিস্থিতি একাডেমি থেকে উঠে আসা রাউল আসেনসিওকেও অভিষেক করিয়েছে দলটি। কিন্তু লম্বা পথ পাড়ি দিতে হলে এই রক্ষণভাগের ওপর ভরসা করার সুযোগ নেই। তাই পরিকল্পনায় না থাকার পরও জানুয়ারিতে নতুন ডিফেন্ডারের সন্ধানে নামতে হচ্ছে ক্লাবটিকে।
জানুয়ারিতে রিয়াল যেসব ডিফেন্ডারকে পাখির চোখ করেছে, তাঁদের অন্যতম আলেক্সান্দার আরনল্ড। বেশ আগে থেকেই লিভারপুলের এই ইংলিশ ডিফেন্ডারকে নিয়ে রিয়ালের আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জানুয়ারিতেই নাকি তাঁকে কিনতে চায় মাদ্রিদের ক্লাবটি। আরনল্ড নিজেই অবশ্য বেশ চোটপ্রবণ।
সর্বশেষ শনিবার রাতে ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচেও চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে আরনল্ডকে। ফলে যে কারণে আরনল্ডকে নিতে চাওয়া, সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে কি না, সে শঙ্কা থেকেই যায়। শোনা যাচ্ছে আইমেরিক লাপোর্তার নামও। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আল নাসর সতীর্থকেও নাকি মনে ধরেছে রিয়ালের।
সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি তারকাকে দিয়ে চলমান সেন্টারব্যাক সমস্যার সমাধানও নাকি দেখছে ক্লাবটি। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে আয়াক্সের ডাচ সেন্টারব্যাক হারোল হাটো এবং আরবি লাইপজিগের কাসেলো লুকেবাও নাকি আগ্রহের তালিকায় রয়েছে রিয়ালের।
রিয়ালের সম্ভাব্য ডিফেন্ডারদের তালিকায় সবচেয়ে চমক জাগানো নাম নিঃসন্দেহে সের্হিও রামোসে। রিয়াল ও স্পেনের এই কিংবদন্তি সেন্টারব্যাক ক্লাব ছেড়েছেন ২০২১ সালে। এরপর পিএসজি ও সেভিয়া ঘুরে বর্তমানে ফ্রি এজেন্ট এই ডিফেন্ডার।
দলের সংকটের সময়ে রামোসকে ফেরাতে বলেছেন সাবেক রিয়াল ডিফেন্ডার গুতি। তিনি বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আপনাকে মার্কেটে যেতে হবে। সের্হিও রামোস বর্তমানে দলহীন। এ পরিস্থিতিতে আমি স্পষ্টত তাকে দলে দেখতে পাচ্ছি। তাকে কোনো খরচ ছাড়াই পাওয়া যাবে।’ এদিকে স্প্যানিশ সংবাদামাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, এ মুহূর্তে রামোসকে ফেরানোর ভাবনাই নেই দলটির। ফুটবলের দলবদলে অবশ্য শেষ কথা বলে কিছু নেই। তাই শেষ পর্যন্ত কী হচ্ছে, তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।