অনুশীলনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
অনুশীলনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

বললেন আল নাসর সতীর্থ

রোনালদোর জীবন খুবই ‘সিরিয়াস’

বয়স ৩৮ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ফুটবলের প্রতি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নিবেদন একটুও কমেনি। এখনো অনুশীলনে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে প্রতিটা ম্যাচের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন পর্তুগিজ মহাতারকা। রোনালদো এখনো অনুশীলনে কতটা মনোযোগী থাকেন, সেটিই এবার জানিয়েছেন তাঁর আল নাসর সতীর্থ আবদুলরহমান ঘারিব। গত জানুয়ারি থেকে রোনালদোর কাছাকাছি থেকে তাঁর জীবন-ধারা সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছেন আবু ঘারিব।

২০০২ সালে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন রোনালদো। এরপর পেরিয়ে গেছে আরও ২১ বসন্ত। স্পোর্তিং লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছুঁয়েছেন সাফল্যের শিখর। এরপর রিয়াল মাদ্রিদে নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বকালের সেরার কাতারে। রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে গিয়েও জিতেছেন ট্রফি। এরপর বৃত্তপূরণ করে ফেরেন ইউনাইটেডে। বর্তমানে ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায় রোনালদো আছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে।

এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েও রোনালদো যে জায়গাটিতে নিজেকে বদলাননি তা হলো কঠোর অনুশীলন। এর আগেও রোনালদোর অনেক সতীর্থ তাঁর নিবেদন নিয়ে কথা বলেছিলেন। এবার ঘারিবও বললেন একই কথা। ক্রীড়াবিষয়ক আধেয় নির্মাতা আবু মাশায়েলকে তিনি বলেছেন, ‘রোনালদোর জীবন খুবই নিয়মতান্ত্রিক। অনেকগুলো ইউরোপিয়ান ট্রফি এবং ব্যক্তিগত শিরোপা জয়ের পরও এখনো অনুশীলনে বল হারালে সে রাগান্বিত হয়। এখনো সে অন্য অনেকের আগে অনুশীলনে এসে হাজির হয়।’

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

রোনালদো শুধু নিজের কথা ভাবেন এমন না। সতীর্থদের উন্নতিতেও দারুণ মনোযোগী ‘সিআর সেভেন।’ রোনালদোর কাছ থেকে কেমন সমর্থন পান জানিয়ে আল ঘারিব বলেছেন, ‘আমি রোনালদোর কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাই। সে দারুণভাবে আমার পাশে থাকে। বিপুল উৎসাহ নিয়ে আমার অনুশীলনে উপস্থিত থাকার কারণও রোনালদো। আমি ক্রিস্টিয়ানোর (রোনালদো) সঙ্গে অনুশীলন করছি, কীভাবে আমি রোমাঞ্চিত না হয়ে পারি।’

সৌদি আরবে নিজের প্রথম মৌসুমটা ভালো কাটেনি রোনালদোর। আল নাসরের হয়ে কোনো শিরোপা না জিতেই মৌসুম শেষ করতে হয়েছে তাঁকে। তবে সামনের মৌসুমে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরতে চান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। এর মধ্যে অবশ্য সৌদি প্রো লিগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে সেখানে যোগ দিয়েছেন করিম বেনজেমা। গতকাল তাঁর সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে এবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন আল ইত্তিহাদ।