অনুশীলনে বাংলাদেশ ফুটবল দল
অনুশীলনে বাংলাদেশ ফুটবল দল

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আরও কঠিন হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য

দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের কোনো দেশ হিসেবে এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছে আফগানিস্তান। দলটি অবশ্য ২০১৫ সালের পর ‘দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ’ থেকে বেরিয়ে গেছে। দুটি সাফের পর আবার এই টুর্নামেন্টে দেখা যাবে বাইরের কোনো দেশকে। আজ সাফের সভা শেষে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আগামী ২১ জুন থেকে ৩ জুলাই ভারতের বেঙ্গালুরুতে হতে যাচ্ছে ছেলেদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। গতবার খেলেছে ৬টি দেশ। এবার খেলবে ৮টি। টুর্নামেন্টকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এই অঞ্চলের বাইরের দেশকে আনার ভাবনা বলে জানিয়েছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। তাঁর কথা, ‘গত এএফসি কংগ্রেসের সময় বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছিল। অন্য আঞ্চলিক টুর্নামেন্টগুলো বাইরের দল এনে শক্তিশালী হচ্ছে। সেই ভাবনা থেকে সাফকে আমরা আরও আকর্ষণীয় ও শক্তিশালী করতে চাই। সেই চিন্তা থেকেই সাফের বাইরে থেকে এক বা দুটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’

সম্প্রতি সেশেলসের সঙ্গে সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কা নিষিদ্ধ আছে ফিফার নির্দেশে। তারা শেষ পর্যন্ত না খেললে বাইরের দুটি দেশ খেলবে, শ্রীলঙ্কা খেললে একটি। বাইরের দল এনে শুধু সংখ্যা বাড়ানো নয়, ভারতের চেয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দল আনতে চায় সাফ। এতে টুর্নামেন্টের মান অনেক বাড়বে। দলগুলো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে খেলে নিজেদের আরও উন্নতি করার সুযোগ পাবে। তবে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, সেটা এখনো ঠিক হয়নি—বলেছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক।  

কদিন আগেই প্রথমবারের মতো সাফের কোনো নারী টুর্নামেন্টে খেলেছে এ অঞ্চলের বাইরের কোনো দল। উয়েফার অনুরোধে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে রাশিয়া। আর এটাই সাফে ছেলেদের টুর্নামেন্টে বাইরের দেশ আনার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছে কর্মকর্তাদের।

এই অঞ্চলে এখন ভারতের র‍্যাঙ্কিংই সবচেয়ে বেশি, ১০৬।  সাফ কর্মকর্তারা চাইছেন ১০০-এর নিচে থাকা দেশগুলোর যেকোনো একটি বা দুটি দল এবার সাফে খেলুক। ভারতের চেয়েও শক্তিশালী দেশ আসা মানে সাফ আরও কঠিন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। এমনিতে ২০০৩ সালের পর আঞ্চলিক এই টুর্নামেন্টে আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের পর ফাইনাল দূরে থাক, পেরোতে পারেনি গ্রুপ পর্বও। এবার ১০০-এর নিচের র‍্যাঙ্কিংয়ের দল অংশ নেওয়া মানে বাংলাদেশের জন্য দুই মাস পর অপেক্ষা করছে অগ্নিপরীক্ষা।