নিষিদ্ধঘোষিত ড্রাগ গ্রহণের দায়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার পল পগবাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ক্লাব ও জাতীয় দল—সব ধরনের ফুটবলে কার্যকর থাকবে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে ক্রীড়া আদালতে আপিল করতে পারবেন জুভেন্টাসের এই ফুটবলার।
৩০ বছর বয়সী পগবা ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হন। রয়টার্স জানিয়েছে, পগবার চার বছরের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইতালির অ্যান্টি–ডোপিং প্রসিকিউটর কার্যালয় দেশটির অ্যান্টি–ডোপিং ট্রাইব্যুনালে অনুরোধ জানিয়েছিল। আদালত সেটি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ২০ আগস্ট সিরি ‘আ’–তে জুভেন্টাস–উদিনেসে ম্যাচের পর করা ডোপ পরীক্ষায় পগবার শরীরে টেস্টোস্টেরনের (পুরুষদের প্রধান স্টেরয়েড হরমোন, যা শুক্রাশয়ে উৎপন্ন হয়) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। টেস্টোস্টেরন খেলোয়াড়দের মাঠে শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এর জেরে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পগবাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আরেকটি নমুনার কাউন্টার অ্যানালাইসিস করা হলে সেখানেও একই ফল আসে। পগবার দাবি ছিল, নিষিদ্ধ ড্রাগ গ্রহণের বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এক চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে একটি ওষুধ নিতে বলেছিলেন, তবে সেটিতে টেস্টোস্টেরনের উপস্থিতির বিষয়টি তিনি জানতেন না।
তবে তদন্তে পগবা ও তাঁর প্রতিনিধিরা সেটি প্রমাণ করতে পারেননি। এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি চার বছরের নিষেধাজ্ঞা। পগবার বিরুদ্ধে এই শাস্তিরই অনুরোধ জানায় ইতালির প্রসিকিউটর কার্যালয়। যা অ্যান্টি–ডোপিং ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (সিএএস) আপিল করার সুযোগ আছে পগবার।
২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা পগবা ২০২২ সালে যোগ দেন জুভেন্টাসে। বর্তমানে ক্লাবটির সঙ্গে ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তি আছে তাঁর। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ না কমলে জুভেন্টাসে তাঁর আর খেলা হবে না। চোটের কারণে কাতার বিশ্বকাপ মিস করা পগবা খেলতে পারবেন না ২০২৬ বিশ্বকাপেও। এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলা পগবা গোল করেছেন ১১টি। ক্লাব পর্যায়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও জুভেন্টাসে দুই দফায় মোট ৪২৩ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৩ গোল।