হঠাৎ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকালে আঁতকে উঠতে পারেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা। প্রথম পাঁচে নেই, দশেও নেই, পয়েন্ট টেবিলে ইউনাইটেডের অবস্থান এখন ১৩ নম্বরে। ৫ ম্যাচে ২ জয়ের বিপরীতে ৩ হারে দলটির পয়েন্ট এখন ৬। আর ৬ গোল করা দলটি হজম করেছে ১০ গোল। গোল ব্যবধান-৪।
এমন পারফরম্যান্সের পর যেকোনো কোচের স্বস্তিতে থাকাটা কঠিন। থাকতে পারছেন না এরিক টেন হাগও। প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তার নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েও। এমনকি গতকাল ঘরের মাঠে ব্রাইটনের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারার ম্যাচেও দুয়ো শুনতে হয়েছে টেন হাগকে। মূল খেলোয়াড় বদলি করার সিদ্ধান্তের কারণেই এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে ইউনাইটেড কোচকে। তবে এই দুয়োকেও ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন টেন হাগ।
গতকাল রাতে ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই মূলত প্রথমবারের মতো ইউনাইটেডের একাদশে সুযোগ পান হয়লুন্দ। প্রথমার্ধেই নিজের প্রথম গোলটি পেয়ে যেতে পারতেন হয়লুন্দ। কিন্তু বল জালে জড়ানোর পর তাঁর সেই গোল বাতিল ভিএআরের ফাঁদে পড়ে। এরপর ম্যাচের ৬৪ মিনিটে রাসমুস হয়লুন্দকে মাঠ থেকে তুলে নেন টেন হাগ। তখন ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল ইউনাইটেড। এই ড্যানিশ তারকাকে তুলে নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি অনেক ইউনাইটেড সমর্থক। এ জন্য দুয়োও শুনতে হয় টেন হাগকে।
সমর্থকদের দুয়োর ঘটনাকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে চান টেন হাগ। ইউনাইটেড কোচ বলেছেন, ‘এটা ইতিবাচক ছিল। আপনি ওল্ড ট্রাফোর্ডের সমর্থকদের দেখেন, তারা তাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে, সেটা দারুণ। সে খুব ভালো খেলেছে। তারা (সমর্থকেরা) যে বার্তা দিয়েছে, সেটা ভালো বার্তা দেয়। তার ওপর আমার আস্থা আছে।’
হয়লুন্দকে তুলে নেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁর চোটকেই সামনে এনেছেন ইউনাইটেড কোচ, ‘সবাই জানে, সে কিছুটা চোট নিয়েই এখানে এসেছে। ৩-৪ সপ্তাহ ধরে আমরা তাঁকে গড়ে তুলছি। সে এখনো পুরো ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। আর যেহেতু সে ৯০ মিনিট খেলার জন্য প্রস্তুত নয়, তাই বেশি সময় খেলালে চোটে পড়ার আশঙ্কা থাকত। তেমনটা হলে সামনে আমরা যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই, সেখানে যাওয়া সম্ভব হতো না।’
এদিকে পয়েন্ট তালিকার ১৩ নম্বরে নেমে গিয়ে এখন যে দুশ্চিন্তায় আছেন, তা–ও স্বীকার করে নিয়েছেন টেন হাগ, ‘অবশ্যই এটা আমাকে অস্বস্তিতে রেখেছে। তবে এটা সংকট নয়। আমাদের নিজেদের ওপর হতাশ এবং রাগান্বিত হওয়া উচিত। আমরা এটা বদলাব।’