বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আর্জেন্টিনায় ফেরার পর লিওনেল মেসি
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আর্জেন্টিনায় ফেরার পর লিওনেল মেসি

আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর যে দুঃখ শুধুই মেসির

লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে পিএসজি-অধ্যায় যে বড় আক্ষেপের নাম, তার আরেকটি উদাহরণ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। বলেছেন, আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর ২৫ জনের দলের বাকি সবাই নিজ নিজ ক্লাবে ফিরে ব্যাপকভাবে সম্মানিত হলেও পিএসজিতে মেসি তা পাননি। তবে ফরাসি ক্লাবটি কেন তাঁর অর্জনে যথাযথ স্বীকৃতি দেয়নি, সেটি তিনি বুঝতে পেরেছেন।

২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বরে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতেন মেসি। ম্যাচে ২টি গোলও করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

বিশ্বকাপ জয়ের ট্রফি নিয়ে আর্জেন্টিনায় একাধিক সংবর্ধনা ও বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্যারিসে যান মেসি। সেখানে পিএসজি কর্তৃক তাঁকে বরণ করার বিষয়ে ইএসপিএনের মিগু গ্রানাদোসেক দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘(আর্জেন্টিনা দলের) ২৫ জনের মধ্যে আমিই একমাত্র খেলোয়াড়, যে ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পাইনি। ব্যাপারটা বোধগম্যই। কারণ, আমাদের (আর্জেন্টিনা) কারণেই ওরা (ফ্রান্স) বিশ্বকাপ ধরে রাখতে পারেনি।’

বিশ্বকাপ জিতে পিএসজিতে ফেরার পর অনুশীলনে নামার সময় গার্ড অব অনার দেওয়া হয় মেসিকে

বার্সেলোনার আর্থিক দুরবস্থার জেরে ২০২০ সালের আগস্টে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। দুই বছরের চুক্তির সঙ্গে আরও এক বছর বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও এবারই প্যারিস ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পিএসজিতে বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেখানকার দুই বছর খুব একটা উপভোগ্য ছিল না। শেষ দিকে পিএসজির উগ্র-সমর্থকদের একটি অংশ মাঠে তাঁকে একাধিকবার দুয়ো দেন, যা ৭ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ীর ক্যারিয়ারের অস্বস্তিকর দিকগুলোর একটি।

তবু মেসি কি কখনো পিএসজিতে থেকে যাওয়ার চিন্তা করেছিলেন কি না, তা জিজ্ঞাসা করা হলে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছেন, ‘এরকমই হয়েছে। আমি যা আশা করেছিলাম, সেটা হয়নি। তবে আমি সব সময়ই বলে থাকি, যেকোনো কিছু কোনো না কোনো কারণেই ঘটে থাকে। আমি যদি সেখানে ভালো না থাকি, সেটার কারণ আমি তখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’

পিএসজি ছেড়ে মেসি এখন ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন

গ্রানাদোসের ইউটিউব চ্যানেলে ‘সন কুই ভোলাবা’ নামের অনুষ্ঠানে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ইন্টার মায়ামি-পর্ব নিয়েও কথা বলেছেন মেসি। খেলাটাকে উপভোগের জন্যই অন্য কোথাও না গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন বলে জানান ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, ‘আমি যা করি, সেটা আমি ভালোবাসি। আমি খেলতে আনন্দ পাই। এ কারণেই অন্য কোথাও না খেলে মায়ামিতে এসেছি। এখন অভিজ্ঞতাটা ভিন্নভাবে হচ্ছে।’

আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২৪ কোপা আমেরিকায় খেলবেন মেসি

মেসির বয়স এখন ৩৬। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নন। তবে আগামী বছরের কোপা আমেরিকায় খেলার ইচ্ছা আছে তাঁর, ‘কোপা আমেরিকা আমার মাথায় আছে। এরপর দেখব কেমন লাগছে। দিন ধরে ধরে দেখব খেলা চালিয়ে যাওয়া কিনা। (বিশ্বকাপের) এখনো তিন বছর বাকি আছে। আমার খেলার মান কমে যাচ্ছে কি না, সেদিকে আমি তাকাই না। আমি থামি, আবার খেলি। তবে বাস্তবতা বলে এটা ব্যাপার আছে। আমার বয়স হচ্ছে। আমি হাজারের মতো ম্যাচ খেলেছি। আর সময় তো সবার জন্যই চলে যায়।’