অবিশ্বাস্য এক নাটকীয়তায় শেষ হয়েছিল অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা দলের প্রথম ম্যাচ। মরক্কোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলে হারা সেই ম্যাচটি জন্ম দিয়েছিল নজিরবিহীন এক ঘটনার। ম্যাচটিতে সেদিন নির্ধারিত সময়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। এরপর যোগ করা সময় দেওয়া হয় ১৫ মিনিট।
রেফারি অবশ্য ১৫ মিনিট পেরিয়ে গেলেও শেষ বাঁশি বাজাননি। যোগ করা সময়ের খেলা গড়ায় ১৬ মিনিটে আর সেই সময় ক্রিস্তিয়ান মেদিনা গোল করে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান। আর্জেন্টাইনরা মেতে ওঠে ২-২ গোলে ম্যাচ ড্র করার আনন্দে। কিন্তু নাটক যে তখনো শেষ হয়নি। শেষ কী হবে, সেটি আসলে ছিল চরম নাটকীয়তার শুরু!
আর্জেন্টিনা সমতাসূচক গোল পাওয়ার পর গ্যালারি থেকে শুরু হয় বোতল-বৃষ্টি। এর মধ্যে কিছু দর্শকও ঢুকে পড়ে মাঠে। স্থগিত করা হয় খেলা। খেলা আবার শুরু হয় ২ ঘণ্টা পর। ততক্ষণে মাঠ ছেড়ে গেছে দর্শক। সে সময় ভিএআর দেখে বাতিল করা হয় আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি। পরে ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড খেলা হলেও আর্জেন্টিনা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। হার নিয়ে ছাড়তে হয় মাঠ।
আজ অলিম্পিকে টিকে থাকার লড়াইয়ে ইরাকের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। তবে প্রথম ম্যাচের নাটকীয় হারের ধাক্কা এখনো পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি দলটি। আজকের ম্যাচের আগেও মরক্কোর কাছে নাটকীয় সেই হার নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। বলেছেন, সেদিন যা হয়েছে, সেটা বিপজ্জনক এক দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। ভবিষ্যতেও এমন কিছু আবার দেখা যায় কি না, সেই শঙ্কার কথাও বলেছেন তিনি।
ইরাক ম্যাচের আগে নিজেদের অবস্থা কেমন, তা জানাতে গিয়ে মাচেরানো বলেছেন, ‘এই কয়েক ঘণ্টা ভালোই কেটেছে। নিশ্চিতভাবেই আগের ম্যাচটি শেষ হওয়ার পর আমাদের খারাপ লেগেছে। যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক ছিল না। তবে আমাদের মনোযোগ এখন পরের ম্যাচে। আমরা চেষ্টা করব ভালো খেলার ও ৩ পয়েন্ট আদায় করে নেওয়ার। এটি করতে পারলে আমরা পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য লড়াই করতে পারব।’
মাচেরানো এরপর যোগ করেন, ‘পরিষ্কারভাবেই যা হয়েছে, সেটা একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। এখন যেকোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জয়ের পথে থাকা কোনো দলের সমর্থকেরা শেষ মুহূর্তে মাঠে প্রবেশ করতে পারবে এবং দেড় ঘণ্টা কোনো খেলা ছাড়া পার করে দিতে পারবে। এরপর ৪-৫ মিনিট খেলা হবে। এটি ঠেকানো কঠিন হবে; কারণ, আগেও যে তেমনটা হয়েছিল। আমি জানি না, ভবিষ্যতে বিষয়টি কীভাবে সামলানো হবে।’