গত ফেব্রুয়ারিতে ৩৯তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাঁর বয়সী অনেকেই ফুটবল ছেড়ে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন, তবে রোনালদোর তো আর অন্যদের মতো নন। বয়স তাঁর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। এখনো আগের মতোই জয় এবং গোল–ক্ষুধা নিয়ে মাঠে নামেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। পরিসংখ্যানও বলছে, রোনালদোর এখনো ফুরিয়ে যাননি। ৫৪ গোল করে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন এই আল নাসর তারকাই।
সৌদি প্রো লিগেও চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। প্রো লিগে ২৩ গোল করার পাশাপাশি সব মিলিয়ে করেছেন ৩০ গোল। তবে এমন দুর্দান্ত ছন্দে থাকার পরও রোনালদো তাঁর সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন বলে মন্তব্য করছেন তাঁরই জাতীয় দল সতীর্থ জোয়াও কানসেলো। পাশাপাশি পর্তুগাল দল এখন আর রোনালদোনির্ভর নয় বলেও মন্তব্য করেছেন এই ফুলব্যাক।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে রোনালদোর পর্তুগাল। তবে সুইডেনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে রোনালদো-কানসেলোসহ আটজনকে। যাঁরা স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। এই ম্যাচগুলোকে মূলত দেখা হচ্ছে ইউরো ২০২৪–এর প্রস্তুতি হিসেবে।
এ দুই ম্যাচ সামনে রেখে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম আরটিপির সঙ্গে কথা বলেছেন কানসেলো। যেখানে রোনালদোর গুরুত্ব নিয়ে জানতে চাইলে কানসেলো বলেছেন, ‘সে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ১৫ বছর ধরে ব্যালন ডি’অরের জন্য মেসির সঙ্গে লড়াই করে আসছে সে। কিন্তু একজন খেলোয়াড় তার সেরা সময় পার করেন ২৫ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। কিন্তু জাতীয় দল এখন পুরোপুরিভাবে তার ওপর নির্ভর করে না।’
কানসেলোর চোখে রোনালদো সেরা সময় পেছনে ফেলে এলেও বাছাইপর্বের পরিসংখ্যান কিন্তু ভিন্ন কথাই বলছে। ইউরো বাছাইয়ে ১০ গোল করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন রোনালদো। তাঁর ওপরে ছিলেন কেবল ১৪ গোল করা রোমেলু লুকাকু। এ তালিকায় কিলিয়ান এমবাপ্পে (৯) ও হ্যারি কেইনের (৮) মতো তারকারাও রোনালদোর পেছনে। বাছাইয়ে পর্তুগালের শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখার ক্ষেত্রেও বড় অবদান ছিল রোনালদোরই।