গোলের পর এমবাপ্পে
গোলের পর এমবাপ্পে

চ্যাম্পিয়নস লিগ

এমবাপ্পের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়িয়ে টিকে থাকল পিএসজি

পিএসজি ১: ১ নিউক্যাসল ইউনাইটেড

চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পর ‘মরণকূপ’-এর স্বীকৃতি পায় গ্রুপ ‘এফ’। সেটি যে ভুল ছিল না আজ গ্রুপের ম্যাচেই তা আরেকবার প্রমাণ হয়েছে। এই গ্রুপের দুটি ম্যাচই উপহার দিয়েছে রোমাঞ্চ।

নিউক্যাসলের কাছে ঘরের মাঠে প্রায় হেরেই বসেছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। আর এই ম্যাচে হার পিএসজিকে নিয়ে যেত খাদের কিনারায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কিলিয়ান এমবাপ্পের ‘বিতর্কিত’ পেনাল্টি গোলে নকআউটের আশাটা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখল প্যারিসের ক্লাবটি। অন্য দিকে এসি মিলানকে তাদের মাঠে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

প্যারিসে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণে যায় পিএসজি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু বল লক্ষ্যে রাখতে না পারায় পাওয়া হয়নি গোলের দেখা। একটু গুছিয়ে নিয়ে নিউক্যাসলও চেষ্টা করে আক্রমণে যাওয়ার। আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টা করে দুই দল। এর মধ্যে ম্যাচের ৯ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে।

১২ মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল নিউক্যাসলের সামনে। কিন্তু এবার গোল করতে ব্যর্থ হন আলেক্সান্দার ইসাক। তবে সেই ইসাকই ফিরতি শটে বল জালে জড়িয়ে প্যারিসকে স্তব্ধ করে দেন ২৪ মিনিটে। যদিও এই গোলের ভিত গড়ে দেন লিভরামেন্তো।

নিউক্যাসলের গোল উদ্‌যাপন

পিএসজি ডিফেন্ডারদের ফাঁদ এড়িয়ে তিনি বল বাড়ান আলমিরনের উদ্দেশ্যে। আলমিরন চেষ্টা করেন বাঁকানো শটে বল জালে জড়ানোর। পিএসজি গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মা তাঁর শট ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন ইসাক। সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে পিএসজি। দারুণ দুটি সুযোগও আসে তাদের সামনে। যদিও গোল পাওয়া হয়নি প্যারিস পরাশক্তিদের। একটি প্রচেষ্টা অবশ্য দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়েছেন নিউক্যাসল গোলরক্ষক। সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি পিএসজি।

বিরতির পর বাঁচা-মরার ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে পিএসজি। দেম্বেলে-এমবাপ্পেরা চেষ্টা করেন দলকে ম্যাচে ফেরানোর। কিন্তু এদিন যেন কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। পিএসজির আক্রমণগুলো বারবার মুখ থুবড়ের পড়ছিল। এর মধ্যে গোল না হওয়ার কিছু কৃতিত্ব নিউক্যাসলের রক্ষণ এবং গোলরক্ষকেরও। তাঁরাই ফিরিয়ে দিয়েছেন পিএসজির একের পর আক্রমণ। কিন্তু পুরোপুরি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ার খেসারত ঠিকই দিতে হয়েছে ‘ম্যাগপাই’দের। ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসে পিএসজিকে। অবশ্য এটি পেনাল্টি ছিল না কি না, তা নিয়ে এরই মধ্যে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি এমবাপ্পে। দারুণ এক শটে বল জালে জড়িয়ে দলের আশা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছেন এই ফরাসি তারকা।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের গোল উদ্‌যাপন

এসি মিলান ১: ৩ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড

অন্য দিকে ডর্টমুন্ড ও এসি মিলানের ম্যাচে শুরু থেকে দেখা গেছে নাটক। দারুণভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখে এদিন ম্যাচের ৬ মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করে নেয় মিলান। কিন্তু অলিভিয়ের জিরুর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল।

একটু পর উল্টো পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড। তবে মিলানের মতো ভুল করেনি তারা। স্পট কিকে গোল করেন মার্কো রিওস। গোল খেয়েও অবশ্য দমে যায়নি মিলান। লড়াই চালিয়ে গিয়ে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ঠিকই সমতা ফেরায় তারা। প্রায় একক প্রচেষ্টায় গোল করেন স্যামুয়েল চুকউইজে। সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুইদল। কিন্তু বিরতির পর ডর্টমুন্ডের দাপটের সামনে টিকতে পারেনি মিলান। শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। আর এই জয় ডর্টমুন্ডকে নিয়ে গেছে নকআউটে।