২০২৩–২৪ মৌসুমের পর পিএসজিতে আর থাকতে চান না কিলিয়ান এমবাপ্পে। লিওনেল মেসি পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরই চুক্তি নবায়ন না করার বিষয়টি তিনি চিঠি দিয়ে প্যারিসের ক্লাবটিকে জানিয়ে দেন। পার্ক দে প্রিন্সেসে এমবাপ্পের সঙ্গে তিন বছর কাজ করা পিএসজির সাবেক ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দোও মনে করেন, ‘এমবাপ্পের প্যারিস ছাড়ার সময় এসে গেছে।’
২০২২ সালে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানোর সব আয়োজনই প্রায় সেরে রেখেছিলেন এমবাপ্পে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য থেকে যান প্যারিসে। কিন্তু রিয়াল তাঁকে পাওয়ার আশা ছাড়েনি। এবার এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ার কথা জানিয়ে দেওয়ার পর তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে রিয়ালকেই ধরে নিয়েছেন সবাই।
এমবাপ্পের জন্য ২০ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফি চায় পিএসজি। রিয়াল এই মুহূর্তে এত টাকা দিতে নাকি রাজি নয়। হয়তো তারা আশা করে আছে, আগামী মৌসুমে এমবাপ্পে মুক্ত খেলোয়াড় হয়ে গেলে তাঁকে মুফতেই পাবে!
কিন্তু পিএসজি এমবাপ্পেকে মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ছাড়তে চায় না। নতুন চুক্তি না করলে যেকোনো ভাবে ফরাসি স্ট্রাইকারকে এবারের দলবদলেই বিক্রি করতে চান পিএসজির সভাপতি নাসের আল–খেলাইফি।
পরিস্থিতি যখন এই, লেকিপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পিএসজির সাবেক ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দো বলেছেন, পিএসজির ভালোর জন্যই এমবাপ্পেকে চলে যেতে হবে। যা–ই ঘটুক না কেন।
এমন কথা কেন বলেছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন লিওনার্দো, কিলিয়ান এমবাপ্পের আগেও পিএসজি ছিল। এমবাপ্পের পরও পিএসজি থাকবে।
মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে—পিএসজি এই ত্রয়ী গড়েছিল মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার জন্য। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। লিওনার্দো সেই বিষয়ও তুলে ধরেছেন, এমবাপ্পে প্যারিসে ছয় মৌসুম ধরে খেলছেন। এই ছয় মৌসুমে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাব চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে (২০১৮ ও ২০২২–এ রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৯–এ লিভারপুল, ২০২০–এ বায়ার্ন, ২০২১–এ চেলসি ও ২০২৩–এ ম্যানচেস্টার সিটি)।
যদি এটাই হয়, তাহলে এমবাপ্পেকে ধরে রেখে লাভ কী—এমন প্রশ্নই তোলার চেষ্টা করেছেন লিওনার্দো, এই পাঁচটি ক্লাবে তো এমবাপ্পে ছিলেন না। এর মানে তাঁকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা সম্ভব।
লিওনার্দো এরপর যোগ করেন, গত দুই বছরের আচরণ দিয়ে এমবাপ্পে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর নেই। তিনি অসাধারণ এক খেলোয়াড়, নেতা নন। তিনি অসাধারণ এক গোল স্কোরার, সৃষ্টিশীল নন। তাঁকে কেন্দ্র করে একটি দল গড়ে তোলা কঠিন।